“চলমান আগ্রাসন থেকে মুসলমানদের রক্ষার উপায়: তওহীদের উপর ঐক্যবদ্ধ হওয়া” -এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এক বিশাল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট ২০২৫) সোনাইমুড়ী উপজেলার শহীদী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নোয়াখালী জেলা হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে এই দিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সহস্রাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে সম্মেলনস্থল মুখরিত হয়ে ওঠে।
সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আমির মাহাবুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতা এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।
প্রধান অতিথির ভাষণে এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, আজ বিশ্বজুড়ে মুসলিম জাতি চরম নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। এই অপমানজনক পরিস্থিতি থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো মুসলিম বিশ্বের ঐক্য। ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে মুসলিমদের মুক্তির আর কোনো পথ খোলা নেই।
তিনি মুসলিমদের অভ্যন্তরীণ বিভেদকে এই সংকটের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, মুসলিম জাতি আজ নানা ফেরকা, মাজহাব এবং দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত। এই আত্মঘাতী বিভক্তি মুছে ফেলে মুসলিমদেরকে এক কালেমার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ঐক্যের মূল ভিত্তি কী হবে, তা ব্যাখ্যা করে হেযবুত তওহীদের এমাম বলেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো হুকুমদাতা, বিধানদাতা নেই- তওহীদের এই ঘোষণাই হতে পারে মুসলিম বিশ্বের মুক্তির মূলমন্ত্র। এই এক ঘোষণার উপর পুরো মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবেই আল্লাহর সাহায্য আসবে এবং মুসলিমরা তাদের হারানো গৌরব ফিরে পাবে।”
সম্মেলনে উপস্থিত সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এক আবেগঘন আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “হেযবুত তওহীদের এই ঐক্যের আহ্বান, ইসলামের এই বাস্তবিক শিক্ষা আজ বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। একটি শান্তিময় ও সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তোলার জন্য আপনাদের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করে নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।”
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার আলোকে সমাজ গড়ে তুলতে সংগঠনের সদস্যদেরকে জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করে সংগ্রাম করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। পুরুষদের পাশাপাশি নারী কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত ও সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচিতে তওহীদের আলোকে সমাজ গঠনে কর্মীদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।