শহরটির দমকল বাহিনী জানিয়েছে, প্রথম হামলাটি আবাসিক এলাকায় হয়েছে, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দ্বিতীয় হামলায় একটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে আফরিনের আল শিফা হাসপাতালে হতাহতদের দেখা গেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনেও নিহতের সংখ্যা ১৩ ও আহত ২৭ জন বলে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার কুর্দিদের ওয়াইপিজি মিলিশিয়া বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার দিয়ে ভবনটিতে আঘাত হেনেছে, আল শিফা হাসপাতালের সূত্রগুলো এমন অভিযোগ করেছে বলে আফরিনে অবস্থানরত তুরস্কের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এর জবাবে আফরিনে মোতায়েন তুরস্কের বাহিনী সিরিয়ার মারাত আল নুমান শহরের আশপাশের গ্রামে কুর্দি মিলিশিয়াদের অবস্থানগুলোতে গোলাবর্ষণ করেছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
পরে ওয়াইপিজির নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) মিলিশিয়া বাহিনী জানায়, তারা আফরিনে হামলা চালায়নি।
আফরিনের সীমান্তবর্তী তুরস্কের হাতাই প্রদেশের গভর্নরের দপ্তর জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে এবং সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা তেল রিফাত এলাকা থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে।
নিজ দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়াকার্স পার্টির (পিকেকে) মিত্র ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। ওয়াইপিজিকে নিজেদের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হটিয়ে দিতে সিরিয়ায় উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালিয়েছিল তুরস্কের সামরিক বাহিনী।
এখন সিরিয়ার তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সর্বশেষ ওই অঞ্চলটিতে বড় ধরনের সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে আঙ্কারা।