• বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২০ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
নোয়াখালীতে আন্দোলনে আহত ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান ‘মৎস্য খামারে সন্ত্রাসী হামলা-ভাঙচুর’ হাসপাতাল থেকে আহতদের চিকিৎসা ফাইল গায়েব নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক বাপ্পিকে সংবর্ধনা উপজেলা নির্বাচন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই নোয়াখালীর চাটখিলে ভুমি নিয়ে বিরোধ, আহত ৪, গ্রেফতার ২ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ৫ জনের উপর হামলা মুজিব বাহিনীর প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের স্মরণে শোক সভা সোনাইমুড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা কাতারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রবাসীরা মামুন হোসেনকে ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় সুবর্ণচরে ভূমিহীনদের উপর হামলা ও বন্দোবস্ত দেয়ার দাবিতে ৭শ পরিবারের মানববন্ধন

ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের সুবিধা একটু বাড়বে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১ সংবাদটির পাঠক ১ জন

এনবি নিউজ : আগামী ১ জুলাই থেকে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের সুবিধা একটু বাড়বে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সঞ্চয়কারীদের জন্য বাজেটে যেভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা সেভাবেই যদি পাস হয়, তাহলে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত হবে।

সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক ও ডাকঘর সঞ্চয় হিসাবের গ্রাহকদের জন্য অর্থমন্ত্রী আগামী ২০২১–২২ অর্থবছরের বাজেটে সামান্য বাড়তি সুবিধা প্রদানের ঘোষণা দেন। সেটি হলো, এখন থেকে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ছাড়াই সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় হিসাবে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ। এত দিন টিআইএন ছাড়া এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেত।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) একটি সূত্র অবশ্য বলছে, টিআইএনধারী হলে পরের বছর থেকেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। করজাল বাড়ানোর জন্যই সরকার এই পথ অবলম্বন করেছে।

তবে সরকারের এ উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন ঢাকার নিউ ইস্কাটন নিবাসী ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারী সুলতানা জাহান। তিনি বলছিলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যটি আমি পত্রিকায় পড়লাম। টিআইএন ছাড়া আমি কয়েক দিন আগে এক লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছি। এখন আরও এক লাখ টাকাও বিনিয়োগ করত পারব। আসলে এই বাস্তবতায় এক লাখ বা দুই লাখ টাকা কিছুই নয়। উচিত ছিল পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত টিআইএন ছাড়া বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া। বাজেট পাস হওয়া পর্যন্ত আমি সেই অপেক্ষায়ই থাকব।’

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে সরকার ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। অর্থাৎ সাধারণ সঞ্চয়কারীদের কাছে যেটা বিনিয়োগ, সেটাই সরকারের জন্য ঋণ। চলতি ২০২০–২১ অর্থবছরে সরকার প্রথমে এই ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৩০ হাজার ৩০২ কোটি টাকা করা হয়েছে। তবে অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই (জুলাই–মার্চ) ৩৩ হাজার ২০৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়ে গেছে। ৩০ জুন অর্থবছর শেষ হওয়ার দিন পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র বিক্রি ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নেবে, তার চেয়ে বেশি শোধ করতে হবে ঋণের সুদ।

বাজেট সংক্ষিপ্তসারের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের তথ্য অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২০–২১ অর্থবছরের জন্য রাখা হয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ প্রকৃত খরচ হয়েছে ২৭ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা।

বিনিয়োগের জন্য চারটি সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এগুলো হচ্ছে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র। বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র যে কেউই কিনতে পারেন। কিন্তু পরিবার সঞ্চয়পত্র সবাই কিনতে পারেন না। এটি কিনতে পারেন শুধু ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী পুরুষ ও নারী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী নারী ও পুরুষ। আর পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন শুধু সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া পেনশনভোগীরা। এগুলোতে সুদের হার ১১ শতাংশের বেশি।

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের যে কথা বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী তুলে ধরেছেন, তাতে দুভাবে টাকা রাখা যায়। একটি সাধারণ হিসাব ও অন্যটি মেয়াদি হিসাব। সাধারণ হিসাবে এক মাসেও সুদ তোলা যায়। আর মেয়াদি হিসাবে ছয় মাস পরপর সুদ তোলা যায়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগ করার সুবিধাও রয়েছে।

গত বছরের মে মাসে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগসীমা তিন ভাগের দুই ভাগ কমিয়ে দেয় সরকার। এতে আগে যে গ্রাহক এই স্কিমে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারতেন, এখন পারেন ৩৩ টাকা।

এখন ডাকঘর সঞ্চয় কর্মসূচিতে একক নামে বিনিয়োগ করা যায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত, যা আগে ছিল ৩০ লাখ টাকা। আর যুগ্ম নামে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা আগে যেখানে ৬০ লাখ টাকা ছিল, সেখানে তা কমিয়ে ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে। একসময় সাধারণ হিসাব ও মেয়াদি হিসাবের পাশাপাশি বোনাস হিসাবও ছিল। সেটি ১৯৯২ সালে বন্ধ হয়ে যায়।

সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদের হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এ ছাড়া তিন বছর মেয়াদি হিসাবের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙানোর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য মুনাফা ১০ দশমিক ২০ শতাংশ এবং দুই বছরের জন্য ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।

মজার ব্যাপার হলো, নাম ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হলেও বাস্তবে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক বলতে কোনো ব্যাংক নেই দেশে। পুরো বিষয়টি দেখভালও করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তর নয়।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে এখন সঞ্চয়পত্রের দুই কোটি গ্রাহক রয়েছে।

এ টি


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ২:৫৯ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:২৬ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৬:৪১ অপরাহ্ণ