শরীয়তপুরের বাসিন্দা সৈয়দ রাসেল বলেন, খুব কষ্ট করে মিরপুর থেকে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত এসেছেন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের পাহারা। বড় গাড়ি চলে না। তবে ছোট গাড়িগুলো ঠিকই চলছে। ৫০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা নিচ্ছে।
শিমুলিয়া ঘাটে ঢুকতেই দেখা যায়, ফেরিতে যাত্রীদের উভয়মুখী ভিড়। যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছেন। ফেরিতে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। আবার যাঁরা মাস্ক পরেছেন, তাঁদের অনেকের থুতনিতে ঝুলছে মাস্ক।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের টার্মিনাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট মেহেদী হাসান বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৫টির মধ্যে ১৪টি ফেরিই চলাচল করছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী, ফেরিতে শুধু রোগী বহনকারী গাড়ি এবং জরুরি পণ্য পরিবহনের গাড়ি ছাড়া সবকিছু পারাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন যাত্রীরা।
সোমবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীর ঢাকা ও আশপাশের জেলা ছেড়ে দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামের বাড়িতে ছুটতে শুরু করেছে মানুষ। ফেরিতে সামাজিক দুরত্ব না থাকায় উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থবিধি।শনিবার সকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।শরীয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। যাবেন ঢাকায়। তিনি বলেন, তাঁর বুকে ও ঘাড়ে ভীষণ ব্যথা। অন্য সমস্যাও আছে। তাই বাধ্য হয়ে লকডাউনের মধ্যেও ঢাকায় চিকিৎসক দেখাতে যাচ্ছেন। গোসাইরহাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে আগে ১৫০ টাকা খরচ হতো। এখন সেখানে ৫০০ টাকা খরচ হয়ে গেছে। ঢাকায় যেতে আরও অন্তত ৩০০ টাকা লাগবে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. জাকির হোসেন বলেন, সকাল থেকে ঘাটে যাত্রীদের চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। লকডাউন শুরু হবে। তাই কেউ রাজধানীতে, আবার কেউ রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছেন। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন এলেই ফেরিতে উঠে যেতে পারছে।