যে কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো মেরামতের আশ্বাস দিয়ে প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেছেন, একটি সংঘবদ্ধ মহল এই প্রকল্প নিয়ে অপপ্রচার করছে, যা কাম্য নয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষে অভূতপূর্ব এক উদ্যোগে সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা করে তাদের জমিসহ ঘর উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’- বঙ্গবন্ধুকন্যার এই ঘোষণা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে ২ শতাংশ জমির সঙ্গে ঘর পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬০টি পরিবার৷
কিন্তু বর্ষার শুরুতেই কয়েকটি স্থানে ভূমি ধসে ঘর ভেঙে পড়ায়, কয়েকটি ঘরে ফাটল দেখা দেওয়ায় নির্মাণের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা যায়, এপর্যন্ত ২২ জেলার ৩৬ উপজেলায় ঘর তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব অভিযোগ পেয়ে ত্বরিত পদক্ষেপে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের, বগুড়ার শেরপুরের, মুন্সীগঞ্জ সদরের, বরগুনার আমতলীতে দায়িত্বে থাকা অন্তত পাঁচজনকে ওএসডি করা হয়েছে৷ দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। আরও অনেক কর্মকর্তাও শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন বলে জানা গেছে।
আশ্রয়ণ-২ এর প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, “আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ পাচ্ছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
“পাশাপাশি ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে যেন কোনো ধরনের অবহেলা না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে নিয়মিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি।”
ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য প্রতিটি জেলার ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের মান রক্ষার ক্ষেত্রে প্রশাসনের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
তিনি বলেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটাকে একেবারে ইবাদত হিসেবে নিয়েছেন, সেটাতে যখন ব্যর্থ হই সেটা আমাদের ব্যর্থতা এবং আমাদের জন্য একটা লজ্জার বিষয়।
“পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্নে যেমন শয়তান আমাদের গন্দম ফল খাইয়ে দিয়েছিল.. শয়তানের উপস্থিতি তো সর্বত্র রয়েছে।”
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সচেষ্ট হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমরা বলেছি এখানে এখন জিরো টলারেন্স, শৈথিল্য দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।”
এই প্রকল্পের ঘরগুলো সরকারি খাস জমির উপর তৈরি করা হয়েছে৷ প্রতিটির আয়তন ৪০০ বর্গফুট৷ প্রতিটি ঘরে আছে দুটি কামরা, রান্নাঘর, বারান্দা ও টয়লেট৷ এছাড়া ১০টি ঘরের জন্য একটি করে গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে৷
সেমিপাকা এই ঘরগুলোর প্রতিটি তৈরি করতে প্রথম পর্যায়ে খরচ হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা৷ দ্বিতীয় পর্যায়ে খরচ হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় পর্যায়ে দুই লাখ টাকা৷ প্রতিটি পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ এই ঘর দেওয়া হচ্ছে৷
আমাদের বগুড়া প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে দেখেন, শেরপুর উপজেলার খানপুর বুড়িগাড়ি এলাকায় ২২টি ঘর উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তরের দুই মাস যেতে না যেতেই ঘটছে নানা বিপত্তি।
প্রায় ৩০ ফুট গভীর খালের কিনারা ঘেঁষে এসব ঘর তৈরি করায় বৃষ্টিতে একপাশের মাটি সরে গেছে। এতে ২২টি ঘরের ১০টিই ভেঙে পড়েছে। এখন খালের ধারে বাঁশের পাইলিং দিয়ে মাটি ধস ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তড়িঘড়ি করে খালের কিনারায় ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। আর খরচ বাঁচাতে খালের মাটি কেটেই বাড়ির চারপাশে দেওয়া হয়। তাই অল্প বৃষ্টিতেই আলগা মাটি খালে চলে যাওয়ায় ঘরগুলোর এই হাল হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে উঠেন। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি, তিনি নতুন যোগদান করায় এর দায় তার নয়।
বগুড়ার শেরপুরের খানপুর বুড়িগাড়ি এলাকায় খালের কিনারা ঘেঁষে ঘর তৈরি করায় বৃষ্টিতে একপাশের মাটি সরে গেছে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম বলেন, “খালের ধারে ঘর করায় বৃষ্টিতে ধসে গেছে। মাটি ভরাট করে সেগুলো বাসযোগ্য করার কাজ চলছে। অল্প দিনের মধ্যেই মেরামত হয়ে যাবে।” জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফেনী প্রতিনিধি সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন, পরশুরামের বক্সমাহমুদে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্পের ঘরগুলোর দেয়ালে ফাটল ধরেছে, পলেস্তরা খসে পড়ছে। ঘরের চালের কাঠও নিম্নমানের বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
বক্সমাহমুদ এলাকার ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি আবুল হাশেম বলেন, “ঘরগুন যেমনে বানায়, হেমনে কি মানুষ থাকতো হাইরব? ভাঙ্গি যাইবো যহন-তহন। (ঘরগুলো যেভাবে বানায়, তাতে কি কেউ থাকতে পারবে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে)”
ফেনীর ডিসি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, গত ৩ জুলাই অন্য একটি কাজে পরশুরাম গিয়ে তিনি বক্সমাহমুদ ইউনিয়নে প্রকল্পের ঘরগুলো পরিদর্শন করেছেন। ঘরগুলো নির্মাণ ২০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন তিনি।
কাজের মান নিয়ে কোনো অভিযোগ পেয়েছেন কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্মাণকাজ নিয়ে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে নির্মাণকারী ব্যক্তি থেকে কাজ বুঝে নেওয়ার সময় কাজের মান যাচাই করে নেওয়া হবে।”
ঝালকাঠি প্রতিনিধি রাজাপুর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দুরবস্থা দেখে এসেছেন।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ১১টি ঘরের ভিত না থাকায় নিচের বালু বর্ষায় সরে গেছে।
সেখানে নির্মাণাধীন ১১টি ঘর ভেঙে পড়ে গত ২৭ মে। ভিত না থাকায় নিচের বালু বর্ষায় সরে ১১টি ঘরের বারান্দার বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে। নামমাত্র বালু ভরাট করে সঙ্গে সঙ্গে ইট বিছিয়ে ঘর নির্মাণ করায় এমনটা হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, “বন্যার কারণে পানি উঠে কয়েকটি ঘরে বারান্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেগুলো দু’দিনের মধ্যেই মেরামত করা হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই।”
শরীয়তপুর প্রতিনিধি সরেজমিনে গোসাইরহাট এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২২ ঘরের ১৬টিতেই ফাটল দেখেছেন।
ওই ঘরগুলোতে ৬ মাস আগে যে পরিবার উঠেছে, তারা এখন আতঙ্কে রয়েছে।
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২২ ঘরের ১৬টিতেই ফাটল দেখা গেছে।
লুতফা বেগম নামে এক বাসিন্দা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর দেওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু বৃষ্টি হলেই চাল দিয়ে পানি পড়ে। কাঠ নষ্ট হয়ে গেছে। অধিকাংশ ঘরের মেঝে ও পিলার ফেটে গেছে। এসব ঘর বেশি দিন টিকবে না।”
খুব নিচু জায়গায় ঘরগুলো তৈরি হয়েছে বলে পানি উঠে যায়। দুটি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে সেখানে যাতায়াত করতে হয়।
ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শিকারী বলেন, “বালু ভরাট করার পর তড়িঘড়ি করে কাজ করার কারণে কিছু ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। পরবর্তীতে এগুলো আমরা ঠিক করে দেব।”
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হুসাইন। কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তাহমিনা আক্তার চৌধুরী।
তাহমিনা বলেন, “ওই জায়গা সিলেকশন ভুল ছিল। এবার অতি বর্ষণের কারণে প্রকল্পের ঘরগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এরপরও আশ্রয়ণ প্রকল্পটি টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। বর্ষা মৌসুম শেষে ওসব ঘর মেরামত করে দেব।”
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হুসাইনও এবার বর্ষায় অতিবর্ষণকে দায়ী করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্ষাকাল শেষ হলে এগুলো ঠিক করে দেওয়া হবে।”
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামে প্রকল্পের কয়েকটি ঘর আংশিক ধসে পড়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকটি ঘর। সেখানে অধিকাংশ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে নদীর ধারে। ফলে যে কোনো সময় বন্যায় ভেসে যাওয়া কিংবা ভাঙনে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প তৈরি হয়েছে নদীর তীর ঘেঁষে, যার ফলে বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতির আশঙ্কা রয়ে গেছে।
বড় বায়পাড়ায় ২৮টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে তার মধ্যে পাঁচটি পরিবারকে সেখানে থাকতে দেখা গেছে। পানি ও রান্নার ব্যবস্থা না থাকায় অন্যরা রাতে ঘরে থাকেন না। তবে বরাদ্দ টিকিয়ে রাখতে দিনে এসে ঘোরাফেরা করেন।
২৭ নম্বর ঘরের বারান্দার কিছু অংশ ও একটি কলাম ভেঙে পড়া দেখা যায়। ঘরের নিচ থেকে মাটিও সরে গেছে। পাশের ২৮ নম্বর ঘরটিরও একই অবস্থা। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে একই সারির অন্তত ছয়টি ঘর।
গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে একটি ঘরের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় তার কিছু অংশ ও একটি কলম ভেঙে পড়ে। ইতোমধ্যে তার দপ্তর মেরামতের কাজ শুরু করেছে।
ঘর নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়নি দাবি করে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এসব ঘরের ভিত্তি বেশি গভীর নয় বলে টানা বর্ষণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বিশুদ্ধ পানিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা অচিরেই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পরিদর্শনে নামছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৫টি দল
লকডাউনের মধ্যে শুক্রবার থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি পরিদর্শনে নামতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাঁচটি দল।
পরিদর্শনকারী দলগুলোকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় নির্মিত এবং নির্মাণাধীন বাড়িগুলোর নির্মাণশৈলী ও গুণগতমান অনুমোদিত নকশা ও প্রাক্কলন অনুযায়ী হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উচ্চ পর্যায়ের পাঁচটি দলের একটিতে নেতৃত্ব দেবেন আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক মাহবুব হোসেন নিজেই।
যে কোনো পরিস্থিতিতে এই পরিদর্শন কার্যক্রম চলবে বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
মাহবুব বলেন, “আমাদের কাছে প্রতিটি কেসই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে একেকটি পরিবারের স্বপ্ন জড়িত। এজন্য মহামারী পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা পরিদর্শনে নামছি।”
মাহবুব হোসেন বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সর্ববৃহৎ মানবিক প্রকল্প। এ প্রকল্পের অনিয়ম বা গাফলতি নিয়ে আমাদের অবস্থান শুরু থেকেই জিরো টলারেন্স। ইতোমধ্যে যে সব জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে সেসব জায়গায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। একই সঙ্গে আমরা যে সব বাড়ি নির্মাণ নীতিমালা হয়নি সেসব বাড়ি সংস্কার অথবা পুর্ননির্মাণে যা যা প্রয়োজন সব কিছু করে দেব।
তিনি বলেন, “অনেক জায়গায় অতি বৃষ্টি, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কিছু কিছু জায়গা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সেসব জায়গায় পুনরায় বাড়ি নির্মাণ অথবা সংস্কার করে দিচ্ছি।”
প্রকল্প পরিচালক এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই মানবিক প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রীর ড্রিম প্রজেক্টকে বিতর্কিত করতে একটি সংঘবদ্ধ মহল এটা নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত আছে, যেটি কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপর আস্থা রাখুন। ভূমিহীন-গৃহহীন সবাইকে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।”