এনবি নিউজ : অবসরে থাকা সরকারি কর্মচারীরা গুরুতর অপরাধ করলে সরকার তার অবসর সুবিধা (পেনশন) সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে পারবে- আইনের এই বিধান রহিত করার প্রস্তাবে সায় দেয়নি মন্ত্রিসভা।
এ বিধান রহিতের প্রস্তাব করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২১’–এর খসড়া মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হলেও সেটির অনুমোদন হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব করেছিল। এর ফলে আইনের বিদ্যমান বিধানই বহাল থাকল।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৫১(৪) ধারায় আছে- ‘অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হইলে, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, তাহার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।’
তিনি বলেন, এই ধারাটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ক্যাবিনেট সেটার সাথে একমত হয়নি। ক্যাবিনেট আগেরটিই বহাল রেখেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়া ব্যক্তিদের অন্য কোথাও চাকরি করা কিংবা বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান বিধান পাল্টে সংশোধনী আইনে সরকারের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
ক্যাবিনেট এই প্রস্তাবেও একমত হয়নি বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।তিনি বলেন, এটাও ক্যাবিনেট এগ্রি করেনি। আগে যেটা ছিল সেটাই থাকবে। সরকার যদি কারো বিরুদ্ধে স্পেসিফিকেলি ব্যবস্থা নেয় তাহলে তা করতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, আগের আইনে কিছু ‘করণিক’ ভুল ছিল, যেগুলো সংশোধিত আইনে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
এ টি