এনবি নিউজ : মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌ আক্তার বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। গ্রেফতারের পর তাদের বিষয়ে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
পিয়াসা ও মৌ নিজেদের মডেল বলে পরিচয় দেন। তবে তাদের মডেল হিসেবে মানতে রাজি নন অভিনয়শিল্পীরা। এ দুজনের বিষয়ে কথা বলেছেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি ও অভিনয়শিল্পী সালাহউদ্দিন লাভলু।
তিনি বলেন, আমাদের সময়ে অনলাইন টিভি, ইউটিউব, ফেসবুক এসবের ছড়াছড়ি ছিল না। এক্সপোজারের একমাত্র উপায় ছিল টেলিভিশন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অনলাইনে এখন কোথা থেকে কে কী বানাচ্ছে—লাইকি, টিকটক আরও কী কী অ্যাপ যেন রয়েছে। এসবের মাধ্যমে অনেকে নিজেদের তারকা ভাবা শুরু করছে।
‘এদের নিয়ে আবার বিভিন্ন পণ্য প্রতিষ্ঠানের মাতামাতির শেষ নাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা খারাপ কাজে লিপ্ত থাকবে, তাদের ধরবে, সাংবাদিকেরা তাদের নিয়ে লিখবে—কিন্তু পরিচয় প্রকাশের আগে একটুখানি খোঁজখবর ও যাচাই–বাছাই নিয়ে দেওয়া উচিত।’
সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, আমরা দেখছি, কোনো মডেল ও অভিনয়শিল্পী পরিচয়ধারী কেউ যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটায়—আমাদের অঙ্গনের সত্যিকারের শিল্পী ও মডেলদের বিব্রত হতে হয়। সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়। মানুষও ঢালাওভাবে নেতিবাচকভাবে দেখা শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যার যা খুশি মুখে আসে লিখে চলছে!
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার দুজনের কাউকে আমরা কখনোই মডেল বা অভিনেত্রী হিসেবে দেখিনি। চিনিও না। শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও কথা হয়েছে, তারাও বলেছে, এদের চেনে না, জানেও না।
এই গুণী অভিনয়শিল্পী বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে যদি ধরে নেই ১০–১২ কোটি টেলিভিশন দেখে, তারা কিন্তু এই অঙ্গনের মানুষকে অনেক সম্মান করে। এটা অর্জন করতে অনেক বছর ধরে সময় লেগে যায়। গুটিকয়ের অপকর্মের দায় যেন বিনোদন অঙ্গনের সবার ওপর না পড়ে।’
রাজধানীর বারিধারার বাসায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করা হয়। এরপর গভীর রাতে মোহাম্মদপুরে একটি বাসা থেকে ইয়াবাসহ মডেল মৌ আক্তারকে আটক করে ডিবি। আটকের পর তাদের নানা অপকর্ম বেরিয়ে আসছে।
এ টি