এনবি নিউজ : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে যথাযথ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ’লিটারিসি ফর হিউমেন-সেন্টারড রিকোভারি: ন্যারোয়িং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, নিরক্ষরতা জীবন-জীবিকা নির্বাহে পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। বর্তমানে বাংলাদেশে বয়স্ক সাক্ষরতার হার ৭৫.৬ শতাংশ অর্থাৎ ২৪.৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর। সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরোর মাধ্যমে মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ২১ লাখ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে স্বাক্ষরতা প্রদানের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। একইসাথে, ৮ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সী বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং যারা কখনও স্কুলে পড়াশুনা করেনি এরকম ১০ লাখ শিশুর শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে।
আবদুল হামিদ বলেন, সমগ্র বিশ্ব আজ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিপর্যস্ত। মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা দুরূহ হয়ে পড়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সেন্টারসমূহ ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ভিত্তিক পাঠদান অনুষ্ঠান ‘ঘরে বসে শিখি’ প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ এ মানব সম্পদ উন্নয়ন, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, উপানুষ্ঠানিক ধারায় বৃত্তিমূলক শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সাক্ষরতা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে যথাযথ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাস
এ টি