• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
বিএনপি কর্মী সর্বস্ব রাজনৈতিক দল নয়, বিএনপি জনসমর্থন ভিত্তিক রাজনৈতিক দল – মোঃ শাহজাহান Знакові постаті: роль у медицину, комерцію, культуру та інші галузі. ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন Probabilità Di Vincita Gratta E Vinci Qual È 13 নোয়াখালীতে আন্দোলনে আহত ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান ‘মৎস্য খামারে সন্ত্রাসী হামলা-ভাঙচুর’ হাসপাতাল থেকে আহতদের চিকিৎসা ফাইল গায়েব নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক বাপ্পিকে সংবর্ধনা উপজেলা নির্বাচন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই নোয়াখালীর চাটখিলে ভুমি নিয়ে বিরোধ, আহত ৪, গ্রেফতার ২

রাজনৈতিক কৌশল ও অবস্থানের পরিবর্তন আসছে গণসংহতিতে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ সংবাদটির পাঠক ১ জন

এনবি নিউজ : রাজনৈতিক অবস্থানে পরিবর্তন আনছে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাম ও প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক অবস্থান ও নীতিতে থাকলেও এবার সেই কৌশল ও অবস্থানে বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে দলটি।

নতুন অপরাপর সমমনা সংগঠনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ পার্টি এবং বৃহত্তর জোট বা যুগপৎ কর্মসূচির বিষয়টি সামনে রেখে দলের মৌলিক অবস্থানে পরিবর্তন আনার বিষয়টি এখন জোর আলোচনায় রয়েছে। আগামী অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ৪র্থ জাতীয় সম্মেলনে এ সংক্রান্ত আলোচনা গণসংহতি আন্দোলনের নতুন ‘রাজনৈতিক নীতি ও কৌশল’ হিসেবে গৃহীত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা গণমানুষের রাজনীতি করি। মওলানা ভাসানী এ অঞ্চলে গণমানুষের রাজনীতির যে ঐতিহ্য গড়ে তুলেছিলেন, আমরা তার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হিসেবে দেশের গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভোটাধিকারসহ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লড়াইকে জনগণের সামনে নিয়ে যেতে চাই। আর এই সংগ্রামে কারা মিত্র হবে তা পার্টির সম্মেলনে নির্ধারিত হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ‘ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলুন’ শীর্ষক স্লোগানে আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ অক্টোবর চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলকে আহ্বায়ক এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পুকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে।

গণসংহতির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, আসন্ন সম্মেলনে দলের রাজনৈতিক, আদর্শিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা হবে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংগঠনের নতুন রণনীতি ও রণকৌশলও নির্ধারণ করা হবে।

নতুন সমমনা সংগঠনগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ পার্টি ও বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট বা যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়টি সামনে রেখে এই কৌশল নির্ধারণ করা হবে বলে জানান সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির একজন দায়িত্বশীল।

সংগঠনের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি সামনে রেখে আসন্ন সম্মেলনে রাজনৈতিক ফায়সালা করতে চায় গণসংহতি আন্দোলন। এ কারণে সম্মেলনে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো গুরুত্ব দেবেন দলটির নেতারা।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার একজন নেতা জানান, ইতোমধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চলছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। ঐক্যবদ্ধ পার্টি, জোট, নাকি যুগপৎ—এসব বিষয় সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, গণসংহতি আন্দোলনের বিগত রাজনৈতিক কৌশল ও নীতি নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—দলটি বাম ঘরানার কিনা।

সংহতির এক নেতা বলেন, সম্মেলনে কৌশল ও নীতি নিয়ে অবস্থানে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বিদ্যমান বাম গণতান্ত্রিক জোটে গণসংহতি থাকবে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা রয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে কোনও নেতাই প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ।

সংগঠনের প্রধান জোনায়েদ সাকি বলেন, ভোটাধিকার, রাষ্ট্রের রূপান্তরের ক্ষেত্রে কারা মিত্র শক্তি, বৃহত্তর ঐক্যের রূপরেখা, ফ্রন্ট নাকি যুগপৎ এসব বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা তৈরি করা হবে সম্মেলনে। সমমনা সংগঠনগুলোর সঙ্গেও বৃহত্তর ঐক্যের আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মনির উদ্দিন পাপ্পু জানান, আসন্ন সম্মেলনে ৪২ জেলা থেকে প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। ১৩০টি উপজেলা ও থানা পর্যায় থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে তৃতীয় সম্মেলনে নিজেদের ‘রাজনৈতিক দল’ হিসেবে ঘোষণা করে গণসংহতি আন্দোলন। ২০১৬ সালের বিশেষ সম্মেলনে নতুন গঠনতন্ত্রের আলোকে কেন্দ্রীয় কমিটি করা হয়। গঠনতন্ত্রে প্রতি তিন বছর পর সম্মেলন করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে তা হয়নি। ২০০২ সালে প্রথম প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে “মুক্তিযুদ্ধে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ে তোলার” আহ্বান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল গণসংহতি আন্দোলন।
এ টি


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৫:০১ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৬:২০ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ২:৫০ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১১ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৬:৩০ অপরাহ্ণ