মধ্য ইউরোপের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১০টায় এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বেশ নাখোশ হয়েছে। তারা বলছে, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আকাশপথে ভ্রমণ খাতকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। বেলারুশের আকাশপথ ব্যবহার করে ইউরোপের দেশগুলো থেকে দৈনিক অন্তত ৪০০ ফ্লাইট পরিচালনা করা হতো।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) ডিরেক্টর জেনারেল উইল্লি ওয়ালশ বলেন, ‘ইউরোপের এয়ারলাইনগুলোর উড়োজাহাজ বেলারুশের আকাশ ব্যবহার করতে পারবে না এমন সিদ্ধান্ত এভিয়েশন নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করার শামিল। দুটো মন্দ কাজ কখনও একটিকে সঠিক বানাতে পারে না।’
গত ২৩ মে রায়ানএয়ারের একটি উড়োজাহাজে করে বান্ধবীসহ গ্রিস থেকে লিথুনিয়ায় যাচ্ছিলেন বেলারুশের সাংবাদিক রোমান প্রতাসেভিচ (২৬)। বোমা আতঙ্কের কথা বলে ওই সাংবাদিকের উড়োজাহাজের রুট বদলে বেলারুশের মিনস্কে অবতরণে বাধ্য করে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ। পরে বান্ধবীসহ ওই সাংবাদিককে আটক করা হয়। ইইউ সদস্য দেশগুলো এ ঘটনার পর বেলারুশের ওপর ক্ষেপেছে।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার সাংবাদিক প্রতাসেভিচ টিভি বক্তৃতায় এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পরিবার বলছে, তাঁকে জোর করে স্বীকারোক্তি দেওয়ানো হয়েছে।
তরুণ এই সাংবাদিককে বন্দিদশায় নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ এনেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা।
অন্যদিকে, আকাশপথ ও বিমানবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।