এনবি নিউজ : কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার গহীন অরণ্যে উপকূলীয় এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত আবদুল হামিদের অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ঝুমপাড়া এলাকার আবদুল হামিদের ভাই আবদুল গফুর, বাদশা ও নাপিতখালী এলাকার আমিরুলকে আটটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পেকুয়ার টৈটংয়ের ঝুমপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘উপকূলের শীর্ষ জলদস্যু পেকুয়ার কবির আটক হওয়ার পর তার কাছ থেকে জানা যায়, টৈটংয়ের পাহাড়ি এলাকা ঝুমপাড়ায় ডাকাত আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। যেখানে অস্ত্র তৈরি ও বেচা-কেনা হয়। এ কারখানায় তৈরি অস্ত্র চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হতো। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছয়টি একেবারেই নতুন। সর্বশেষ গত দুইদিন অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেও আবদুল হামিদ পালিয়ে যায়। গত মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম র্যাব-৭-এর একটি টিম পেকুয়ায় এই অভিযান শুরু করে। বুধবার রাতে অভিযান শেষ করে। আটক তিন জনের মধ্যে ডাকাত আমিরুল একজন দক্ষ অস্ত্র তৈরির কারিগর। ওই এলাকায় ১১টি পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি পাহাড়ে এই বাহিনীর আস্তানা পাওয়া যায়।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান, দুর্গম এই এলাকাটি চট্টগ্রাম কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত।
এর আগে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার জলদস্যু বাহিনীর সর্দার কবির আহমদ ও তার ১৪ সহযোগীকে আটক করে র্যাব-৭-এর একটি টিম।