এনবি নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি দল নির্বাচনে অংশ নিতে আর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে হলে দেখাতে হবে যে সেই দল নির্বাচনে জয়ী হলে কে হবে তাদের সরকার প্রধান। বিএনপি যে অংশ নেবে আগামী নির্বাচনে তারা কাকে দেখাবে?
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দলটির নেতৃত্ব কার হাতে এবং কে নেতা? ওরা ইলেকশন করবে কী নিয়ে, পুঁজি কী? বিএনপির কি একটাও যোগ্য নেতা নেই যাকে তারা চেয়ারম্যান করতে পারে’?
পাল্টা প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওদের জন্য কান্নাকাটি করে লাভ নেই। ওরা ইলেকশন করবে কাকে নিয়ে, আমাকে বলতে পারবেন?’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ প্রাচীন একটি দল। সাধারণ মানুষ এই দল গঠন করে। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ দলের জন্মস্থান কোথায়? মূল একটি দল আছে বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরশাসক। তিনি খুনি মোশতাকের সঙ্গে হাত মেলান। জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনি। তিনি আইয়ুব খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। তিনি কারফিউ গণতন্ত্র দিয়েছেন। তার হাতে তৈরি দল বিএনপি। আরেক দল জাতীয় পার্টিও একইভাবে স্বৈরশাসকের হাতে তৈরি।
প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘যে দলগুলো তৃণমূল থেকে উঠে আসেনি, সেই দলগুলোর কাছে কী আশা করেন? ওই দলের নেতৃত্ব কার হাতে? একজন অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। নির্বাহী ক্ষমতা বলে সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগটা দিয়েছি বয়সের কথা বিবেচনা করে। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও পলাতক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি একেক সিটে দিনে তিনবার করে প্রার্থী পরিবর্তন করে। ঢাকা থেকে একজন ঠিক হয়। আবার লন্ডন থেকে আরেকজন। যে যত টাকা দিয়েছে, তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা মাঝখানে নির্বাচন ছেড়ে চলে গেল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন মাঝপথে কেউ নির্বাচন ছেড়ে চলে যায়, তখন তো মাঠ ফাঁকা। বাকিরা তখন যা খুশি, তা-ই করতে পারে। সেই দোষ তো আওয়ামী লীগের না। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তবে কাকে সরকারপ্রধান করবে?
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো দল নির্বাচনে জয়ী হলে কে সরকারপ্রধান হবেন, সেটা আগেই বিবেচনা করা হয়। তারা যে নির্বাচন করবে, তাতে কাকে দেখাবে? সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে? সে তো দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে কত টাকা খরচ করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেল একটু খোঁজ করেন। এখানে গণতন্ত্রের দোষ কোথায়?’
এ টি