বিশ্বকাপে জার্মানি মানেই ফেবারিট—এই কথাটা কেন বলা হয় কোস্টারিকার বিপক্ষে, সেটাই যেন প্রমাণ করতে নেমেছিল জার্মানি। ম্যাচের শুরু থেকেই কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে ব্যস্ত রাখেন জার্মান ফুটবলাররা। আর সেই আক্রমণের শুরুটা করেন জার্মান তরুণ তুর্কি জামাল মুসিয়ালা। তবে নাভাসের দক্ষতায় সফল হতে পারেননি এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের ৭ মিনিটে আবারও আক্রমণে সেই মুসিয়ালা।
এবার কোস্টারিকার ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে পাস দেন সতীর্থ লিওন গোরেৎসকাকে। গোরেৎসকা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। ১০ মিনিটে কোস্টারিকার রক্ষণের তালা ভাঙতে সক্ষম হয় জার্মানি। জার্মানির পাওয়া প্রথম এই গোলটির উৎসও ছিলেন মুসিয়ালা। এই তরুণ ফুটবলার পাস দেন ডেভিড রোউমকে। ক্রসে মাথা লাগিয়ে গোল করেন সার্জ নাবরি। জার্মানির জার্সিতে হেডে এটাই নাবরির প্রথম গোল।
প্রথম গোলের পর যেন আরও মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানি। যদিও কাঙ্ক্ষিত গোলটা পাচ্ছিল না তারা। তার বড় কারণ নাভাস। আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকা কোস্টারিকা প্রথম সুযোগটা পায় ২৯ মিনিটে। তবে সে সুযোগ তাদের কাজে লাগেনি। তবে ৪০ মিনিটের পর জার্মান ডিফেন্ডারের কয়েকটি বড় ভুলে সুযোগ পেয়ে যায় কোস্টারিকা। যদিও নয়্যার–জাদুতে কেশের ফুয়ের ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি।
প্রথমার্ধের শেষের ছন্দ ধরে রেখেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে কোস্টারিকা। মাঠে চাপে থাকা জার্মানদের চাপ আরও বাড়ে অন্য ম্যাচের স্পেনের বিপক্ষে জাপান ২-১ গোলে এগিয়ে গেলে। এমন চাপে পড়ে হ্যান্সি ফ্লিক মাঠে নামান নিকলাস ফুলক্রুগকে।
তবে তিনি মাঠে নেমে পার্থক্য গড়ার আগেই গোল করেন কোস্টারিকার ইয়েলৎসিন তেহেদা। ৬০ মিনিটে জার্মান ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক নয়্যারের ভুলে গোল করেন এই মিডফিল্ডার। এরপর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। বিশেষ করে তরুণ মিডফিল্ডার মুসিয়ালা। তবে ভাগ্যটা তাঁর সঙ্গে ছিল না। কখনো নাভাসের অতিমানবীয় সেভ কিংবা কখনো গোলপোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
জার্মানির বিপদ আরও বাড়ে কোস্টারিকা দ্বিতীয় গোল করলে। ম্যাচের ৭০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় কোস্টারিকা। গোল করেন হুয়ান পাবলো ভারগাস। স্পেনের বিপক্ষে হার এড়ানোর নায়ক ফুলক্রুগ জার্মানদের সমতা ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখেন। তাঁর সহায়তায় ৭৩ মিনিটে গোল করেন কাই হাভার্টজ।
জার্মানদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল, নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন নাভাস। ৮৫ মিনিটে আবারও সেই হাভার্টজ গোল করে ব্যবধান ৩–২ করেন। আর শেষ মুহূর্তে ব্যবধান আরও বাড়ান ফুলক্রুগ। যদিও তা ঠেকাতে পারেনি জার্মানির বিদায়।