ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যাঁকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত করবে, তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন। তবে দলটি এখন পর্যন্ত তাদের প্রার্থী কে তা প্রকাশ করেনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত তা ঘোষণা নাও করা হতে পারে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সম্পর্কে বলা আছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিনে ও সময়ের মধ্যে কোনো সংসদ-সদস্য রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে ওই পদের জন্য মনোনীত করে নির্বাচনী কর্তার কাছে একটি মনোনয়নপত্র দিতে পারবেন, যে মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসাবে তাঁর স্বাক্ষর থাকবে এবং সমর্থক হিসাবে অন্য একজন সংসদ-সদস্যের স্বাক্ষর থাকবে; সেইসঙ্গে যিনি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত হতে যাচ্ছেন, তাঁরও উক্ত মনোনয়নে সম্মতিসূচক স্বাক্ষরিত বিবৃতি থাকবে।
তবে প্রস্তাবক বা সমর্থক হিসাবে কোন সংসদ-সদস্য একটির বেশি মনোনয়নপত্র সই করবেন না।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার সংসদ সদস্যরা। চলতি সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা আছে। ফলে আওয়ামী লীগ যাকে প্রার্থী মনোনয়ন করবে তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরী কে হচ্ছেন, তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। আওয়ামী লীগ কাকে এই পদে মনোনয়ন দিচ্ছে তা নিয়ে সবার আগ্রহ থাকলেও এখন পর্যন্ত ক্ষমতাসীনরা কারো নাম প্রকাশ করেনি। গত বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় দলের বৈঠক করেছিল আওয়ামী লীগ। সেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনীত করার ক্ষমতা দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়। ওই বৈঠকের পর দলীয় সূত্র বলেছিল, দলীয় প্রার্থী কে হবেন, তা ১২ ফেব্রুয়ারির আগে প্রকাশ করার সম্ভানা কম।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটের তারিখ। তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল কাউকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা নেই। এর বাইরে অন্য কোনো প্রার্থীও এখন পর্যন্ত নেই। একক প্রার্থী হলে শেষ পর্যন্ত আর ভোটের প্রয়োজন হবে না। ১৯৯১ সালে সংসদীয় ব্যবস্থায় ফেরার পর থেকে মাত্র একবার রাষ্ট্রপতি পদে ভোটের প্রয়োজন পড়েছিল।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী সোমবার মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হবে। আইন অনুয়ায়ী, মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মাত্র একজন প্রার্থীর মনোননয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।