এনবি নিউজ : দেশে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও তা মানছে না কওমি মাদরাসাগুলো। নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাদরাসা তো চালু রাখা হয়েছে-ই, উল্টো পরীক্ষারও আয়োজন করেছে তারা। এমন প্রেক্ষাপটে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রচলিত সরকার কাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনের অধীনে না এলে মামুনুল হকদের শায়েস্তা করা হবে। কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় সেটা আমাদের জানা আছে।’
ফেসবুকে নওফেল আরও বলেন, ‘খেলাফত মজলিস নামক একটি দলের এক নেতা এই কুলাঙ্গার মামুনুল হকের পক্ষে যেভাবে সাফাই গাইল, এতে বোঝা যায় দ্বীনে ইসলাম শুধুই এদের বেঁচে থাকার জন্য একটি মাধ্যম। ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মনে রাখা প্রয়োজন, স্বাধীনতাযুদ্ধে এই দেশের জনগণ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এদের ছাড়াই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে, আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল শক্তির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। কিছু এতিম শিশুকে রাখে বলে এরা অনেকের সহানুভূতি পায়।
এরা দেশের প্রচলিত সরকার কাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনের অধীনে না আসলে, এদের কিভাবে শায়েস্তা করতে হবে তা আমাদের জানা আছে। পিতার ভাস্কর্য অপমানিত করার পর থেকে, এদের স্পর্ধার শুরু। এখন ১৭টি লাশের ওপরে চলছে এদের ‘রিফ্রেশমেন্ট’ জীবন।
আগুন যারা জ্বালিয়েছে, পিতার ছবিতে হাত যারা দিয়েছে, এদের একটা একটা করে ধরে আনা হবে, আইনের সম্মুখীন করা হবে। সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক- সর্ব পর্যায়ে এই কাঠমোল্লা গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ বানের জলে ভেসে আসে নাই। গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনীতি করতে চায় করবে। কিন্তু ধর্ম ব্যবসা করে মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালানোর পরিণাম এদের বোঝাতে হবে। আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত ছাড় পায় নাই। এই ধর্ম ব্যবসায়ীরাও ছাড় পাবে না। ইনশাল্লাহ।’
এ টি