এস্তাদিও নিল্টন সান্তোস স্টেডিয়ামে গোলশুন্য ব্যবধানে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল ও চিলি। বিরতির পর ৪৫ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোকে তুলে লুকাস পাকেতাকে মাঠে নামান ব্রাজিল কোচ তিতে। ৪৬ থেকে থেকে ৪৮, ম্যাচের এই ৩ মিনিট ব্রাজিলের জন্য ছিল নাটকীয়।
বদলি হয়ে নামার পরের মিনিটেই (৪৬ মিনিট) গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন পাকেতা। বক্সের ভেতর নেইমারের সঙ্গে দারুণভাবে বল আদান-প্রদান করে জোরাল শটে গোল করেন লিঁও মিডফিল্ডার। শুন্যের ওপর তাঁকে দেওয়া নেইমারের পাসটিও ছিল দারুণ।
মাঝে এক মিনিট পরই ব্রাজিলের জন্য লজ্জা বয়ে আনেন ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস। বল দখল করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ইউজেনিও মেনার মুখে উড়ন্ত লাথি মেরে বসেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা। রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান তাঁকে। নিচু মাথায় লজ্জায় মাঠ ছেড়েছেন জেসুস। যদিও শেষ দিকে ডিফেন্ডারদের কল্যাণে জয় নিয়ে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়তে পেরেছে ব্রাজিল।
জেসুস ৪৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখার পর বাকি সময়ে দশজন নিয়ে খেলেছে ব্রাজিল। এরপর ধীরে ধীরে ব্রাজিল রক্ষণের ওপর চাপ বিস্তার করে চিলি আক্রমণভাগ। চিলির ফরোয়ার্ড এদুয়ার্দো ভার্গাসের দারুণ দুটি শট রুখে দেন ব্রাজিল গোলকিপার এদেরসন।
প্রথমার্ধেও ব্রাজিলের ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভাকে ফাঁকিয়ে দিয়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ভার্গাস। বল দখলে ম্যাচে চিলির দাপটই বেশি ছিল। ৫৯ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১১টি শট নিয়ে ৫টি পোস্টে রাখতে পেরেছে তারা। ব্রাজিল ১০টি শট নিয়ে পোস্টে রাখতে পেরেছে ৫টি।
প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে গোলের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। বাঁ প্রান্ত থেকে নেইমারের বাতাসে ভাসানো ক্রস ঠিকমতো টোকা লাগাতে পারলেই গোল করতে পারতেন ফিরমিনো। শুন্যে লাফ দিয়ে তা করতে পারেননি লিভারপুল তারকা। কোপায় ঘরের মাঠে ব্রাজিল কোচ হিসেবে এখনো অপরাজিত রইলেন তিতে। সোমবার সেমিতে পেরুর মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।