এনবি নিউজ : আগামী ৭ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কারণে মার্চ মাসে নির্বাচন হবে না। ৭ এপ্রিল কিছু ইউনিয়ন পরিষদ ও বাদ পড়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে। রোজার ঈদের পর বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট হবে। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ আইন সংশোধনের সময় ও সুযোগ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সংগ্রহে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি’-এর নতুন কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএফইডির সভাপতি সোমা ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী জেবেল।
সিইসি বলেন, আগামী ৭ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ ও বাতিল পৌরসভাগুলোতে ভোট হবে। বাকিগুলো রোজার ঈদের পর করব। মে মাসে বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট করব। তখন বর্ষা থাকবে, কষ্ট হবে তবু ভোট করতে হবে।
আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশনসভার পর পুরো বিষয়টি জানাতে পারব। ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় প্রতীকে ভোটের বিষয়ে আইনে কোনো সংশোধন আসবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই, সংশোধন করার দরকারও নেই। আমাদের নির্বাচনে যেসব আইনবিধি আছে তা যথেষ্ট। এ সময় নির্বাচন আইনের সংশোধনের সুযোগ নেই, সময়ও নেই।
এ সময় রফিকুল ইসলাম বলেন, যে আইনে নির্বাচন করি, সেটি স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রণীত আইন। স্থানীয় সরকার বিভাগ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন সংশোধন না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আইনে যা আছে সে অনুযায়ী ভোট করতে হবে।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ও সব দলের প্রার্থী রয়েছে। এটি অত্যন্ত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যত ছোট নির্বাচন হয়, তত প্রার্থীদের পারস্পরিক সংঘাতের বিষয় থাকে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি- পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বলি। তিনি বলেন, সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় চতুর্থ ধাপে পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে নূরুল হুদা বলেন, আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি আছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক থেকে যা যা দরকার যেসব ঠিকঠাক রেখেছি। আমি আশা করি, এর পর থেকে যেসব নির্বাচন হবে সেগুলো ভালো হবে, সুষ্ঠু হবে, রক্তপাত হবে না।
মার্চে নির্বাচন হবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির পঞ্চম ধাপের পৌরসভা ভোটের পর এক মাস অর্থাৎ মার্চ মাসে নির্বাচন হবে না। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা ও তা প্রকাশ করতে মার্চ মাসজুড়ে সময় লাগবে। সিডির মাধ্যমে ভোটারদের সব ধরনের তথ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এটি দিয়ে যাচাইয়ের কারণে ভুয়া ভোটাররা ভোট দিতে পারে না। নির্বাচনে সহিংসতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এত রক্তপাত হয়েছে, এত সংঘাত হয়েছে- তা নয়। কিছু হয়েছে তা প্রার্থীদের কারণে। প্রচুর পুলিশ, র?্যাব ও ম্যাজিস্ট্রেট থাকে; তারপরও হঠাৎ ঘটনা (সংঘাত) ঘটে যায়- এটি অপ্রত্যাশিত। এতে আমাদের করার কিছু থাকে না। তবে এতে ব্যাপকভাবে সংঘাত হয়েছে তা বলা যাবে না। পুরো নির্বাচনে তিন-চারটি জায়গায় সংঘাত ঘটেছে।
এ টি