গত শুক্রবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় গিয়ে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ, ইউটিউবে তার গানের স্বত্ব ‘সংরক্ষিত’ হিসাবে দেখাচ্ছে। অথচ তার নিজস্ব কোনো অ্যাকাউন্ট নেই ইউটিউবে।
সপ্তাহ খানেক ধরেই গানটি ফেইসবুক, টিকটক, ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ায় অনেকে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করলেও গানের স্রষ্টা ভুবন কোনো অর্থ পাননি। গানের শিল্পী হিসেবে তার নামও অনেকে উল্লেখ করছেন না।
নিজের নামে গানের স্বত্বের পাশাপাশি গান থেকে উপার্জিত প্রাপ্য অর্থ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ শিল্পী।
ভুবন বলেন, ‘‘গানটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রচুর মানুষ বাড়িতে ভিড় করছেন। সকলেই আমার গান ভিডিয়ো করতে চান। তার পর সেই গান নেটমাধ্যমে ছেড়ে অনেক টাকা আয়ও করছেন। অথচ আমার হাত খালি।’’
বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পেশায় বাদাম বিক্রেতা। বাদাম বিক্রি করতেই গানটি বেঁধেছিলেন তিনি।
গান জনপ্রিয় হওয়ায় খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন ভুবন। রাস্তায় বেরোলেই অনেকেই ছুটে এসে ছবি তোলার আবদার করছেন।
নিরাপত্তার জন্য থানায় যাওয়ার সময় মাথায় হেলমেট পরে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। যাতে কেউ চিনতে না পারেন।