এনবি নিউজ : জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ এ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সই করার পর আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠনের পথ সুগম হয়।
আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন আইনটির গেজেট প্রকাশ করা হয়। এরপরই আসবে সার্চ কমিটির ঘোষণা, সেটিও গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। গত বৃহস্পতিবার বহুল আলোচিত এ বিলটি জাতীয় সংসদে পাশ হয়।
বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা শনিবার বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী এখন পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নাম সুপারিশের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রোববার সকালে গেজেট আকারে প্রকাশের একই দিন বিকালে আরেকটি গেজেট প্রকাশ হতে পারে, যেখানে রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। আইন অনুযায়ী ছয় সদস্যের এ কমিটিতে একজন নারী সদস্য থাকছেন। যদিও সংসদের ভেতরে ও বাইরে আইনটি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। গেজেট প্রকাশ, সার্চ কমিটি গঠন, তাদের সুপারিশ জমাসহ বাকি সব কাজের জন্য হাতে থাকছে ১৫ দিন সময়। রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক।
সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজনবিশিষ্ট নাগরিক। এ দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন হবেন নারী। তিনজন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম হবে। এ কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সময় থেকে সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন শুরু হয়, যা অনুসরণ করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এবার সার্চ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মধ্যেই আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা কমিটি।
গত বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান কমিটিতে রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই ‘বিশিষ্ট নাগরিকের’ মধ্যে একজন নারীকে রাখার বাধ্যবাধকতা রেখে আলোচিত বিলের প্রস্তাবে সায় দেয় জাতীয় সংসদ। পাস হওয়া বিলে সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে, যা খসড়ায় ১০ কার্যদিবস ছিল।
এটি