নিপুন তো আগেই শপথ নিয়ে চেয়ারে বসেছেন। আপনি কবে থেকে দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন?
জায়েদ খান : আদালতের রায়ের পর সকালেই আমি সভাপতি সম্মানিত ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইকে ফোন করেছিলাম। আর বাধা নেই। আমি আজই শিল্পী সমিতিতে বসব। আজই দায়িত্ব পালন শুরু করে দেব। ডিপজল ভাই, রুবেল ভাইসহ আমাদের পরিষদের সবাইকে নিয়েই এই দায়িত্ব পালন করব।
আপনি, ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফোন দিয়ে কী বলেছেন?
জায়েদ খান : বলেছি, ভাই, আমি তো নির্বাচিত ছিলাম। হাইকোর্টের রায়ে একই পদে আমাকে বহাল রেখেছে। আমরা একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। ভাই শুনে বললেন, আচ্ছা।
আপিল বোর্ড ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী ছিল?
জায়েদ খান : তিনি নির্বাচিত নন। তাঁকে সাধারণ সম্পাদক বলা ঠিক নয়। তিনি ভোটে হেরেছেন। হার–জিত থাকতেই পারে। তিনি চাইলে আমরা একসঙ্গে শিল্পীদের জন্য কাজ করতে পারতাম। শিল্পীদের স্বার্থে এখনো সেই পথ খোলা আছে। নিপুণের উচিত আমি জায়েদ খানের গলায় জয়ের মালা পরিয়ে দেওয়া। তাঁর প্রমাণ করা শিল্পীদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। শিল্পীদের স্বার্থে আমরা এক।
আপনাদের প্যানেলের পরাজিত সভাপতি মিশা সওদাগর গতকাল শপথবাক্য পাঠ করালেন…এতে আপনার মন্তব্য কী?
জায়েদ খান : মিশা ভাই একজন সহজ সরল এবং সিনিয়র মানুষ। আগে দুবার সভাপতি ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে এসে নতুন সভাপতিকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। শিল্পীদের মধ্যে তো কোনো দলাদলি নেই। তাঁকে ফোন করেছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গিয়ে শপথ পড়িয়ে সভাপতির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন।আমি মনে করি, মিশা ভাই শিল্পীসুলভ আচরণ করে তার সরল আর বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন।
শপথ অনুষ্ঠানকে কীভাবে দেখছেন?
জায়েদ খান : আসলে আমাদের শিল্পী সমিতির সংবিধানে শপথ বলতে তেমন কিছু নেই। এটা একধরনের অঙ্গীকারের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া। তবে এই শপথ প্রতীকী হলেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি পবিত্রতা। একজন বাদে সবাইকে শুভেচ্ছা। সবার শপথ ঠিক আছে কিন্তু নিপুণের শপথ অবৈধ। তাঁর শপথ আমি মেনে নিতে পারব না। তিনিসহ একটি গ্রুপ আমাকে চক্রান্ত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরাতে চেয়েছিলেন। নিপুণ আসলে এই শপথের জন্য যোগ্য নন। এখানে নির্বাচিতরাই শপথ নেবেন। নিপুণ আসলে গায়ের জোরে আমার চেয়ারে বসেছিলেন। এটা তিনি ঠিক করেন নাই। আমি চাই তার শুভবুদ্ধি উদয় হোক। শিল্পীদের স্বার্থে কাজ করুক।
কেন আপনার কাছে মনে হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে একটি গ্রুপ সরিয়ে দিতে চায়?
জায়েদ খান : আমি বেশি কাজ করেছি। আমি ভালো মানুষ, শিল্পীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। তাঁরা আমাকে ভালোবাসেন—এটা নিপুণ মেনে নিতে পারেননি। তাঁর জোর দাবি, যেভাবেই হোক শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পোস্ট চাই। সব জায়গায় কি আর গায়ের জোর খাটে, আমি আদালতে গিয়েছি, ন্যায়বিচার পেলাম। এতে প্রমাণিত হলো বিচার বিভাগ স্বাধীন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুশি। এখন সিনেমার স্বার্থে কাজ করব।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
জায়েদ খান : ধন্যবাদ আপনাকেও।