এনবি নিউজ : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপিসহ কয়েকটি দল ভারতবিরোধী রাজনীতি করে। প্রেসক্লাবের আঙিনা গরম করে। নয়া পল্টনের আঙিনা গরম করে। ভারতবিরোধী বক্তব্য দিয়ে টেলিভিশনের পর্দা কাঁপায়। তারা আবার দেখলাম গতকাল সুর সুর করে ভারতীয় হাইকমিশনে ইফতার করতে গিয়েছে। আশা করি তাদের এই অপরাজনীতি বন্ধ হবে।’
আজ ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভা তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল আমরা দেখেছি, একদিকে দেশে এসে ভারতবিরোধিতা করেছে, আবার ভারতে গিয়ে নতজানু নীতি অবলম্বন করেছে। তাদের নেত্রী ভারতীয় শাড়ি পরে ভারতবিরোধী বক্তব্য দেন। ভারত থেকে আসা গরুর মাংস খেয়ে ভারতবিরোধী গরম বক্তৃতা করেন।’
১৯৭১ সালে ভারতের মানুষ শুধু সীমান্তের দুয়ার খুলে দেয়নি, হৃদয়ের দুয়ারও খুলে দিয়েছিল মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতের যে অবদান, সেটি বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ভারতের সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব ছিল না।’
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুস্পর্ক বজায় না রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। যেই প্রতিবেশী দেশ অভ্যুদয়ে অবদান রেখেছে, তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার মাঝে দেশের উন্নতি নিহিত। তাদের সঙ্গে বৈরিতা করে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি এই অঞ্চলের উন্নয়ন এই উপমহাদেশীয় দেশগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বৃদ্ধির মধ্যে নিহিত।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের অন্যতম উপদেষ্টা ড. নীম চন্দ্র ভৌমিক, উপদেষ্টা মো. সালাউদ্দিন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ।
এ টি