• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
বিএনপি কর্মী সর্বস্ব রাজনৈতিক দল নয়, বিএনপি জনসমর্থন ভিত্তিক রাজনৈতিক দল – মোঃ শাহজাহান Знакові постаті: роль у медицину, комерцію, культуру та інші галузі. ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন Probabilità Di Vincita Gratta E Vinci Qual È 13 নোয়াখালীতে আন্দোলনে আহত ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান ‘মৎস্য খামারে সন্ত্রাসী হামলা-ভাঙচুর’ হাসপাতাল থেকে আহতদের চিকিৎসা ফাইল গায়েব নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক বাপ্পিকে সংবর্ধনা উপজেলা নির্বাচন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই নোয়াখালীর চাটখিলে ভুমি নিয়ে বিরোধ, আহত ৪, গ্রেফতার ২

আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ সংবাদটির পাঠক ১ জন

এনবি নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এখানে নিজের ভাগ্য গড়তে আসেনি। এ দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছে। বাংলাদেশের ইতিহাস আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যদি দেখা যায়, আজ পর্যন্ত এ দেশের মানুষের যতটুকু অর্জন, তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের হাতে। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। এ জন্য আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয় না। কারণ, তাহলে বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ, নির্যাতন করতে পারে না।’

আজ ২৩ জুন বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপির মিথ্যাচারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘মিথ্যা কথা বানানো আর মিথ্যা কথা বলার যদি কারখানা থেকে থাকে, সেটা হলো বিএনপি। তারা মিথ্যা কথা বানানো, বলতে খুব ভালো পারে। যতটুকু মিথ্যা এটার প্রডাকশনটা এরা ভালো দেয় এবং বলেও যায়। আমাদের কিছু লোক সেটা বিশ্বাসও করে।’

তিনি বলেন, ‌‘আজকে বন্যা হয়েছে, আজ পর্যন্ত কোনও বিএনপি নেতা বা কেউ কোনও সাহায্য দিয়েছে বন্যাবাসীদের? দেয়নি। ঢাকায় বসে বসে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এমন এমন দুর্গম এলাকা, যেখানে বন্যার পানির জন্য কেউ পৌঁছাতে পারছে না, সেখানেও যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা কিন্তু ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে। তারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, খাদ্য সাহায্য দিচ্ছে। উদ্ধার কাজ করছে। যারা বন্যাবাসীদের জন্য আজ পর্যন্ত একমুঠো খাবার দিতে পারেনি বা পাশে না দাঁড়িয়ে এখানে বসে বসে মায়াকান্না কেঁদে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে এদের চরিত্র।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতু করেছি নিজস্ব অর্থায়নে। এটা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। বিএনপি আবার প্রশ্ন তোলে কোন মুখে, যাদের আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা? এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজা পেয়েছে খালেদা জিয়া। শুধু এতিমের অর্থ কেন নাইকো, গ্যাটকো— এ রকম বহু কেস ঝুলে আছে। ওই কেসে সে তো কখনও কোর্টেই যেতে চায়নি। প্রত্যেকটা প্রজেক্টে দুর্নীতি করে তারা টাকা বানিয়েছে। তারেক জিয়া, খালেদা জিয়া, কোকো সবাই তো। কোকো তো পরে মরেই গেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দুর্নীতি করে যদি টাকা না বানাবে বিদেশে এত বিলাসবহুল জীবন-যাপন করে কী করে? কত টাকা খরচ করে সেখানে কোম্পানি খুলেছে এবং সেই কোম্পানিতে প্রথমেই সে নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক লিখেছে। একবছর পরে সেটাকে আবার সংশোধন করে সেখানে বাংলাদেশের নাগরিক লিখেছে। কারণ মিথ্যা কথা লেখাতে ধরা পড়ে যায়। কাজেই সেটাকে আবার সংশোধনও করেছে। সে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেলো কোথা থেকে? একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ব্রিটিশরা কীভাবে নাগরিকত্ব দেয়? সেটা এখন তারা উইথড্র করেছে। এখন বাংলাদেশের লিখেছে। তথ্য তো আমাদের কাছে আছে। নেই তা তো না, আরও আছে। এদেরই বেশি বড় গলা। কথাই বলে, চোরের মায়ের বড় গলা।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকারে এসে আমরা যতটুকু অর্জন করতে পেরেছিলাম, ২০০১-এ বিএনপি ক্ষমতায় এসে সবই নস্যাৎ করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছিল। পাঁচ পাঁচ বার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। খালেদা জিয়া প্রাইমমিনিস্টার থাকতে দুর্নীতিতে এক নম্বর চ্যাম্পিয়ান। সেই ভাবমূর্তি বাংলাদেশের জন্য কতটা অসম্মানজনক। সেখান থেকে আজকে পরিবর্তন করে বাংলাদেশকে এখন বিশ্বে একটা সম্মানজনক স্থানে আমরা নিয়ে গেছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। ওদের (বিএনপি) এই মিথ্যাচারটা থাকবেই।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমরা উদ্বোধন করবো ২৫ তারিখে। যেমন বানভাসি মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড থেকে শুরু করে পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন সবাই সেখানে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাদের উদ্ধার করা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, তাদের খাদ্য দেওয়া—সেখানে এতটুকু গাফলতি নেই। ডে ওয়ান থেকে আমরা এই বানবাসি মানুষের পাশে আছি। বন্যা এটা প্রাকৃতিক কারণেই বাংলাদেশে আসবে, হবেই। এর সঙ্গে আমাদের বসবাস করতে হবে। কিন্তু তাই বলে আমাদের যে এত বড় একটা অর্জন পদ্মা সেতু। যেটা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অভিযোগ, দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল যেটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। প্রমাণ করতে পারেনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কানাডার কোর্টে মামলা দিয়েছিল। সেই মামলায় স্পষ্টভাবে রায়ে বলা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যে যে অভিযোগ এনেছে সবই মিথ্যা, ভুয়া, কোনোটাই সঠিক না। একটা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। সেটা তো আজকে প্রমাণিত যে, এখানে কোনও দুর্নীতি হয়নি। তারপর এই সেতুটা যে আমরা করেছি, এটা তো একটা মাল্টিপারপাস সেতু করেছি। সেটা নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলে কোন মুখে? ওরা (বিএনপি) তো কিছুই করে যেতে পারেনি।’

যমুনা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে খুব বেশি এগোতে পারেনি। কারণ সব জায়গায় তো কমিশন খাওয়ার অভ্যাস। আবার কমিশন তো একজনকে দিলে হবে না। মায়ের জন্য একটা, দুই ছেলের জন্য দুইটা, ফালুর জন্য একটা, অমুকের জন্য একটা— এই করতে করতে কেউ আর ওখানে কাজ করতে পারতো না। এত ভাগে ভাগে তাদের কমিশন দিতে হতো। সেই কারণেই কোনও কিছু এগোতে পারেনি। আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এই যমুনা সেতুতে রেল লাইন, গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎতের লাইন নিয়ে এটার ডিজাইনটা আবার মাল্টিপারপাস ব্রিজ করে আমরা তৈরি করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের প্রকৃতি, মানুষের উন্নয়ন আওয়ামী লীগ যতটা বুঝবে, অন্যরা তা বুঝবে না। বুঝবে কী করে? বিএনপির হৃদয়ে তো থাকে পাকিস্তান। তাদের মনেই আছে পাকিস্তান। দিল ম্যা হ্যায় প্যায়ারে পাকিস্তান। সারাক্ষণ গুণ গুণ করে ওই গানই গায়। এই যাদের মানসিকতা তাদের দ্বারা তো বাংলাদেশের ভালো চাইবে না এটা খুব স্বাভাবিক। এটা নিয়ে আপনাদের এত দুঃখ করার, চিন্তা করার কিছু নেই। আর ওদের কথা যত না বলা যায় ততই ভালো। কারণ ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না। বরং এই সবগুলিকে গাট্টি বাইন্ধা পাকিস্তানে পাঠাইয়া দিলে ভালো হয়। পাকিস্তানের এখন যে অবস্থা ওখানে থাকলেই তারা ভালো থাকবে। এখনও লাহোরে সোনার দোকানে খালেদা জিয়ার বড় ছবি আছে, যে ওই দোকানের সোনার গহনা তার খুব প্রিয়।’

তিনি বলেন, ‘এদের জন্মও তো বাংলাদেশে না। না জিয়ার জন্ম বাংলাদেশে, না খালেদার। কারও জন্মই না। এরশাদও তো কুচ কুচ বিহারি। তারও তো জন্ম কুচবিহারে। একমাত্র আমার বাবাও ছিলেন এই দেশের, আমারও এই দেশের মাটিতেই জন্ম। কাজেই মাটির টান আলাদা। এখানে আমাদের নাড়ির টান। কাজেই এই দেশের মানুষের ভাগ্য গড়াটাই তো আমাদের লক্ষ্য। সেই জন্যই আমরা কাজ করি। আওয়ামী লীগের আদর্শই হচ্ছে জনগণের সেবা করা।’

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিল অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নেতৃত্ব শূন্য একটা দল ইলেকশন করবে জনগণ ভোট দেবে কী দেখে? ওই চোর, ঠকবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করা, খুন, অস্ত্র চোরাকারবারী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাদের এ দেশের জনগণ ভোট দেবে? এ দেশ চালানোর জন্য। তা তো দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ এ ব্যাপারে যথেষ্ঠ সচেতন। তারা জানে আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কা। আর নৌকার যে প্রয়োজন। এবার বন্যায়ও তো নৌকার জন্য হাহাকার। নৌকা ছাড়া তো গতি নেই বাংলাদেশে। এটাও মনে রাখতে হবে— আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা শুধু এনে দেয়নি, স্বাধীনতার সুফল এখন ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে।’

করোনা আবার বাড়ছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি‌ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বন্যা কিন্তু এখানেই থামবে না। এই পানি আস্তে আস্তে নিচে যত নামতে থাকবে। ধীরে ধীরে একেকটা এলাকা প্লাবিত হতে থাকবে। কাজেই আমাদের সেই প্রস্তুতিও রাখতে হবে। এটা কিন্তু একেবারে ভাদ্র মাস পর্যন্ত চলবে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলতে পারে এই বন্যা। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের কিন্তু প্রস্তুতি নিতে হবে।’
এ টি


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৫:০১ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৬:২১ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ২:৫০ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১১ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৬:৩০ অপরাহ্ণ