এনবি নিউজ : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন। শুক্রবার (৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো ঈদবার্তায় তিনি বলেন, ‘উৎসব মানবজাতির এমন এক সাগর তীর, যেখানে ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবাই শামিল হতে পারে। তাই স্বার্থচিন্তা পরিহার করে মানবকল্যাণ এবং সমাজে শান্তি, ন্যায়, সুবিচার ও সোহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে।’
পবিত্র ঈদলি আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করি।
বাণীতে উল্লেখ করা হয়, কোরবানি মুসলিমদের জন্য মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মহৎ ইবাদত। মানবতার সেবায় মুসলমানদেরকে তাদের সময়, প্রচেষ্টা এবং সম্পদ নিয়ে এগিয়ে আসতে সাহায্য করে। কোরবানির পশুকে আল্লাহ তার মহিমার প্রতীক করেছেন। কোরবানির এই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে মানবকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশ এখন এক চরম দুঃসময় অতিবাহিত করছে। করোনার পাশাপাশি চলমান প্রবল বন্যা মোকাবিলায় সরকারের চরম ব্যর্থতায় সারা দেশের মানুষ বিপর্যস্ত, অসুস্থতা ও ক্ষুধার জ্বালায় হাহাকার করছে অসহায় মানুষ। অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন। মানুষের দিন কাটছে জীবন-মৃত্যুর অজানা আশঙ্কায়। এর ওপর স্বেচ্ছাচারী শাসনের কবলে জনগণ অধিকারহীন ও বাকরুদ্ধ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম বিশ্বে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে। স্রষ্টার প্রতি নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতি বছর পশু কোরবারি দেয়, এর মাধ্যমে মহান আল্লাহপাকের প্রতি নিবেদিত বান্দা হওয়ার প্রেরণা জোগায়। কোরবানির ঈদ বিশ্বমুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। যেকোনও উৎসব বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য নয়, উৎসবের রয়েছে একটি সর্বজনীন বৈশিষ্ট্য। আসুন, আমরা অঙ্গীকার করি— এই ত্যাগের উৎসবের দিনে করোনায় বিপন্ন মানুষসহ অসহায়-নিরণ্ন মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।’
এ টি