এনবি নিউজ : নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। দলটি জানায়, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও আইন মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন, যারা নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, তাদেরকে কমিশনের অধীনে থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন চাইলে তাদের যে কাউকে বদলি করতে পারবে, এমন বিধান রাখার দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
আজ ১৮ জুলাই সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এসব দাবি করেন তারা।
‘সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশকৃত খেলাফত মজলিসের প্রস্তাব’ শিরোনামে লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়—
১.নির্বাচন কমিশনের কাজের ক্ষেত্রে সরকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
২. নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবলের মাধ্যমেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. নির্বাচনকে অর্থ ও পেশী শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় নির্বাচনি আইন প্রণয়ন ও পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. ভোটারদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ নিশ্চিত করা ও যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫. প্রত্যেকটি নির্বাচনি বুথে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে।
৬. সব দলীয় প্রার্থীর ব্যক্তিগত প্রচারণা ছাড়া অন্যান্য আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারণার দায়িত্ব ও ব্যয় নির্বাচন কমিশন বহন করবে, এমন ব্যবস্থা করা। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনও গুরুতর অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল। এমনকি নির্বাচিত হলেও তার পদ বাতিল ঘোষণা করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৭. সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিদায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়া, অথবা দলীয় এমপি, মন্ত্রীদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া, প্রয়োজনে সংবিধানে সংশোধনী আনতে হবে।
এ টি