• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
বিএনপি কর্মী সর্বস্ব রাজনৈতিক দল নয়, বিএনপি জনসমর্থন ভিত্তিক রাজনৈতিক দল – মোঃ শাহজাহান Знакові постаті: роль у медицину, комерцію, культуру та інші галузі. ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন Probabilità Di Vincita Gratta E Vinci Qual È 13 নোয়াখালীতে আন্দোলনে আহত ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান ‘মৎস্য খামারে সন্ত্রাসী হামলা-ভাঙচুর’ হাসপাতাল থেকে আহতদের চিকিৎসা ফাইল গায়েব নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক বাপ্পিকে সংবর্ধনা উপজেলা নির্বাচন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই নোয়াখালীর চাটখিলে ভুমি নিয়ে বিরোধ, আহত ৪, গ্রেফতার ২

আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সংবাদটির পাঠক ১ জন

এনবি নিউজ : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত ও চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। রম্যাটেরিয়ালান্সের শিল্প কারখানা তৈরি করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত নিজের ইন্ডাস্ট্রি করতে না পারবো, ততদিন নির্ভরশীল থাকতে হবে। এভাবে হলেও আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি নিজেদের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) সঙ্গে ‘মিট দ্য প্রেস’ এ তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সঞ্চালনায় মিট দ্যা প্রেস উপস্থিত ছিলেন ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার এবং ওকাব নেতা ফরিদ হোসেন।

টিপু মুনশি বলেন, আজকের কাগজে দিয়েছে যে, সামনের বছর আরও মন্দার দিকে যাবে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন সামনের বছরটা পৃথিবী আরও খারাপের দিকে যাবে। সার্বিক অবস্থাটা যে খুব সুন্দর বা স্বস্তিদায়ক তা কিন্তু নয়। এজন্য আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। এখানে ক্রাইসিস হলে বড় রকমের বিপদ আছে আমাদের। সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করা হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদনে যদি আমরা ভালো করি দেশের প্রয়োজনটুকু যদি কভার করতে পারি তাহলে আমরা বড় রকমের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যাবো পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে যদি পণ্যের চাহিদা কমে যায়। তাহলে সত্যিকার অর্থে বিষয়টি চিন্তার ব্যাপার। কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি খারাপের দিকে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার সচেতন আছে। সেজন্য সরকার বাইরে থেকে কিছু টাকা-পায়সার কথা বলা হয়েছে, আমদানি কমানোতে জোড় দেওয়া হচ্ছে। রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আশেপাশের দেশগুলো ভারত ও চীনে যদি কিছুটা রপ্তানি বাড়াতে পারি। সেটা একটা ভালো খবর হবে। সব মিলিয়ে বৈশ্বিক পরিস্থিতি যদি উন্নত না হয় তাহলে আমরা এই পরিস্থিতি খুব সহসা কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে মনে হয় না।

টিপু মুনশি বলেন, ২০২৬ সালে আমরা গ্রাজুয়েশনে যাবো, এটা ঠিক রাখতে হবে। এটা আমাদের পরিকল্পনায় আছে। তবে এর পরবর্তী তিন বছরের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা কিন্তু প্রস্তুত ছিলাম এই বিপদটা না এলে হয়তো হতো না। ২০৩০ সালে এসডিজি লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছাতে পারবো। তবে আমরা চেষ্টা করছিলাম ২০৩০ সালের আগেই পৌঁছে যাবো। কোনো ভালো খবরের জন্য যে যুদ্ধটা শুরু হয়েছিল সেটা যদি বন্ধ হয় তাহলে এখানে নতুন অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করি।

ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের রপ্তানি বাড়িয়েছি যেটা এক দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ছিল সেটা দুই বিলিয়নে নিয়েছি। এটা রাতারাতি করা সম্ভব নয়। আমাদের প্রচুর রম্যাটেরিয়ালান্স আনতে হয় ভারত ও চীন থেকে। এজন্য বাণিজ্য ঘাটতি। আমাদের এখানে যদি এসব শিল্পকারখানা করতে পারি তাহলে কিছুটা কমে আসবে। তা না হলে ভারত ও চীনের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে যাবে। আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কিছুটা কমেছে। যতদিন পর্যন্ত নিজেদের ইন্ডাস্ট্রি করতে না পারবো ততদিন পর্যন্ত নির্ভরশীল থাকতে হবে। এটা করা হলেও আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

২০২৬ সালের পর থেকে আমরা এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাচ্ছি সে লক্ষ্যপূরণে নতুন কোনো পলিসি সরকার নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেখুন আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির শিকার, নিজেরা চেষ্টা করে যে এই পরিস্থিতি থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবো এমনটা মনে হয় না। আমাদের বিপদ সামনে রেখে কতটুকু করা যায় সেটাই চিন্তার বিষয়। যেমন গ্লোবাল মার্কেটে কিছু জিনিসপত্রের দাম কমেছে। কিন্তু অন্যদিকে ট্রান্সপোর্টের খরচ বেড়েছে। এর ফলে কমার সুবিধা আমরা পাচ্ছি না।

মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্যা আছে তারমধ্যেও ব্যবসা বন্ধ নেই। পাশের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ চলছে। তাদের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলোর কিছু আমাদের দেশে এসেছে। আমরা চাই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হোক। যাই হোক আমরা সমস্যাগুলো অ্যাডজাস্ট করেই এগিয়ে যাচ্ছি।

ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সরকার কি কাজ করছে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে, সে ক্ষেত্রে ইউরোসহ অন্যান্য মুদ্রার কথা এসেছে। এটা খুবই টেকনিক্যাল বিষয় সম্ভব কিনা সেটা জানি না। যেহেতু কথা উঠেছে তাই সম্ভাবনাও আছে চেষ্টাও চলছে। কারণ ডলারের দাম চরমভাবে ওঠা-নামা করছে। দাম নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় চিন্তা করছে আশা করছি ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।
এ টি


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৫:০১ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৬:২০ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ২:৫০ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১১ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৬:৩০ অপরাহ্ণ