প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুর্ঘটনায় ১৫০ বছরের পুরোনো সেতুটির সাপোর্ট ক্যাবল ছিঁড়ে যায় এবং সেতুটি লোকজনসহ ভেঙ্গে নীচের নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয় কিছু ভিডিওতে দেখা যায় ভেঙ্গে যাওয়ার পর লোকজন সাঁতরে তীরে ওঠার চেষ্টা করছে আর কেউ কেউ সেতুটির ভাঙ্গা অংশ ধরে পানিতে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে।
মাচ্ছু নদীর ওপর এই সেতুটি সংস্কার কাজের জন্য সাত মাস বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটের নববর্ষে সেতুটি সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয় মিউনিসিপাল কর্তৃপক্ষের প্রধান এনডি টিভিকে জানিয়েছেন যে শতবর্ষী এই সেতুটি উদ্বোধনের আগে সংস্কার কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট নেয়নি।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপর সরকারের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করে গুজরাটের শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ব্রিজেশ মেরজা এনডি টিভিকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হয়। আমরা মর্মাহত।’
এ বিষয়ে পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্ষ সাঙ্গভি। দুর্ঘটনায় নিহদের প্রতি পরিবারকে চার লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গুজরাট সরকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিহতদের পরিবার প্রতি অতিরিক্ত দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন।