এনবি নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারজুড়ে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ মোকাবিলায় প্রতিজ্ঞা করেছেন দেশটির সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং। সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাজকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। রাজধানী নেপিদোয় সামরিক বাহিনীর বার্ষিক সশস্ত্র কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিরল ভাষণে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিন তার সরকারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনাকারী দেশগুলোকে সন্ত্রাসীদের সমর্থক হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন মিন অং হ্লাইং।
২০২১ সালে মিয়ানমারের নির্বাচিত অং সান সু চি’র সরকারকে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। সু চিসহ তার রাজনৈতিক দলের অনেক সদস্যকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ এনে তাদের বিচারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকার। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সু চি।
জাপানের হামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠার ৭৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানী নেপিদোয় একটি বার্ষিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মিন অং হ্লাইং। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রতিরোধগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বন্ধ করবে না মিয়ানমার সরকার, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন।
ক্ষমতা দখলের পর থেকে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধ ছায়া যুদ্ধ শুরু করেছে ছোট-বড় কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। বেসামরিক ও সামরিক বাহিনী থেকে বের হয়ে আসা সদস্যদের নিয়ে জান্তাপ্রতিরোধ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকারের বাহিনীর সঙ্গে এক প্রকার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো। ২০২১ সাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তচ্যুত হন লাখ লাখ মানুষ।
ভাষণে ৬৬ বছর বয়সী মিন অং হ্লাইং বলেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থ ক্ষুন্ন করতে চায়, এমন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই থামবে না। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে সামরিক আইন ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে এবং বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। তবে চলমান সংঘাতের কারণে এটি কখন অনুষ্ঠিত হবে তা স্পষ্ট নয় বলে জানান তিনি।
জান্তার আরোপিত রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হচ্ছে জানুয়ারিতে। এই মেয়াদ শেষের পর সংবিধান অনুসারে কর্তৃপক্ষকে নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং এখনও নির্বাচনের কোনও তারিখ ঘোষণা করেননি। তবে গত সপ্তাহে বিদ্যমান ও নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য দুই মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
এ টি