• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
বিএনপি কর্মী সর্বস্ব রাজনৈতিক দল নয়, বিএনপি জনসমর্থন ভিত্তিক রাজনৈতিক দল – মোঃ শাহজাহান Знакові постаті: роль у медицину, комерцію, культуру та інші галузі. ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন Probabilità Di Vincita Gratta E Vinci Qual È 13 নোয়াখালীতে আন্দোলনে আহত ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান ‘মৎস্য খামারে সন্ত্রাসী হামলা-ভাঙচুর’ হাসপাতাল থেকে আহতদের চিকিৎসা ফাইল গায়েব নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক বাপ্পিকে সংবর্ধনা উপজেলা নির্বাচন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই নোয়াখালীর চাটখিলে ভুমি নিয়ে বিরোধ, আহত ৪, গ্রেফতার ২

দুলু থেকে ফারুক, এরপর মিয়াভাই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩ সংবাদটির পাঠক ৩ জন

এনবি নিউজ : ১৫ মে পৃথিবীর মায়া ছিন্ন করে পরপারে চলে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিংবদন্তি অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। জীবদ্দশায় ফারুককে নিয়ে ছিল অনেক আলোচনা। তার জীবনের কিছু অজানা অধ্যায় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

দুলু থেকে ফারুক, এরপর মিয়াভাই

বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফারুকের পুরো নাম আকবর হোসেন পাঠান। তার ডাক নাম ছিল দুলু। নায়ক ফারুক হিসাবেই সিনেমায় পরিচিত ছিলেন। মিয়াভাই নামেও তিনি চিত্রপুরিতে পরিচিত ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কীভাবে দুলু থেকে ফারুক হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, চলচ্চিত্র পরিচালক এইচ আকবর ও ফারুক নামের এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি ‘ফারুক’ নামটি ধারণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ছয় দফা আন্দোলনের পর আমি ওয়ান্টেড ছিলাম, যে কারণে নাম দিয়ে দিল ফারুক। ওরা বলল, এ নামে তোমাকে প্রথমে কেউ ধরবে না। দ্বিতীয়ত চলচ্চিত্রের নামগুলো ছোট হলে ভালো হয়, সুন্দর হয়, যেমন রাজ্জাক, উজ্জল, আলমগীর, শাবানা; নাম ছোট হলে ক্যাচি হয়।’ এরপর ফারুক নামেই অভিনয় জগতে তার পথচলা শুরু হয়। তার অভিনীত ‘মিয়াভাই’ নামে একটি সিনেমা বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। ব্যবসাসফলও হয়। সেই সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফারুক। তারপর থেকে বাস্তবে তাকে কেউ কেউ ‘মিয়াভাই’ নামে ডাকতে শুরু করেন।

মামলা থেকে বাঁচতে অভিনয়ে

৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর ৩৭টি মামলা হয় ফারুকের বিরুদ্ধে। এক পর্যায় ফারুক শুনতে পান তাকে মেরে ফেলা হবে। মামলা থেকে রেহাই পেতে ও বেঁচে থাকার জন্য সিদ্ধান্ত নেন তিনি অভিনয়ে যোগ দেবেন। তার ধারণা ছিল অভিনয় করলে মানুষ চিনবে জানবে, এতে তার জনপ্রিয়তা বাড়বে। যার ফলে তার বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলে সেটা সহজেই করা যাবে না। সে থেকেই তার অভিনয়ে আসা। এখানেই শেষ নয়। ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে পড়েন আরেক বিপাকে। এ সিনেমার নায়িকা প্রয়াত কবরীকে কেউ জানায়, ফারুক একজন মাস্তান। ভালো ছেলে না। সে জন্য তার সঙ্গে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না কবরী। তবে ফারুক অনেকটা জোর করে বুঝিয়ে শুনিয়ে কবরীকে অভিনয় করতে বাধ্য করেন।

প্রখ্যাতদের সঙ্গে আড্ডা

ফারুকের জন্ম মানিকগঞ্জের ঘিওরের এক গ্রামে হলেও সেখানে বেশি দিন থাকেননি। তিনি বেড়ে উঠেছেন পুরান ঢাকায়। এখানেই তিনি পেয়েছেন পরিচালক এইচ আকবর, এ টি এম শামসুজ্জামান, প্রবীর মিত্রর মতো নির্মাতা-শিল্পীদের। তাদের সঙ্গেই ছিল তাদের চলাফেরা, আড্ডা। সে সময় লালকুঠিতে নাটক প্রদর্শিত হতো। নাটক শেষে শিল্পী, নির্মাতাদের সেখানেই আড্ডা দিতেন ফারুক।

শিল্পীদের জন্য ছিলেন দায়িত্বশীল

অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক। তার নেতৃত্বগুণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সেটা তিনি রাজনীতির মাঠেও দেখিয়েছেন। অভিনেত্রী রোজিনার বয়ানে জানা যায়, ঢাকার বারিধারা নামে নতুন একটি আবাসন হলো। সেখানে শিল্পীদের জন্য প্লট বরাদ্দ চলছিল। ফারুক রোজিনাকে ফোন করে বললেন, ‘২৫ হাজার টাকা পাঠা। বারিধারায় প্লট কিনব তোর জন্য।’ রোজিনা বললেন, ‘টাকা তো প্রযোজকদের কাছ থেকে নিতে হবে।’ এরপর ফারুক নিজ উদ্যোগেই প্রযোজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে রোজিনার জন্য প্লটের আবেদন করে দিলেন। কিন্তু সে প্লট পাননি। পরে রোজিনার জন্য উত্তরায় প্লটের ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে সেখানেই থাকছেন রোজিনা।

রাজ্জাক-ফারুক দ্বন্দ্ব

সিনেমাপাড়ায় কথিত ছিল নায়করাজ রাজ্জাক ও নায়ক ফারুকে মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। একবার নাকি রাজ্জাক ফারুকের গায়েও হাত তুলেছিলেন। ‘সখী তুমি কার’ সিনেমার মাধ্যমে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তখন নাকি রাজ্জাক এ সিনেমায় ফারুকের অনেক দৃশ্য ফেলে দিতে পরিচালককে চাপ দিয়েছিলেন। যদিও জীবদ্দশায় এক সাক্ষাৎকারে রাজ্জাক বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘পরিচালক যেটা ভালো মনে করেছেন সেটা করেছেন। আর ফারুকের সঙ্গে আমার বিশেষ কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। প্রফেশনালি যেটা ছিল সেটা সবার মধ্যেই থাকে।’ তবে রাজ্জাক-ফারুক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে ‘পৃথিবী তোমার আমার সিনেমার মাধ্যমে। দ্বন্দ্ব কেটে যাওয়ার পর দুজনার মধ্যে এমন বন্ধুত্ব হয় যে, ফারুক রাজ্জাকের বাসার কাছাকাছি বাসা নেয় এবং রাজ্জাকও প্রায়ই ভোরে ফারুককে ঘুম থেকে ডেকে ফজর নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে নিয়ে যেতেন।

চিকিৎসা খরচ বহন করতে গিয়ে নিঃস্ব ফারুকের পরিবার

ফারুকের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার খরচ বহনের জন্য বিক্রি করতে হয়েছিল প্রায় পনেরো কোটি টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট। রাজধানীর বারিধারায় এ দুটি ফ্ল্যাট কেনার পর একদিনও থাকার সৌভাগ্য হয়নি তার পরিবারের। পাশাপাশি স্বজনদের কাছ থেকেও ধার-দেনা করতে হয়েছিল। ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান গত বছরই এমন তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথে চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল, সে জন্য সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়েছে আমাদের। চিকিৎসকরা যখন ফারুককে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন ওই সময় আমাদের হাত ছিল একেবারে খালি। করোনার কারণে ফ্ল্যাটও বিক্রি করতে পারছিলাম না। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তার দেওয়া টাকা দিয়েই আইসিইউর প্রথম মাসের বিল পরিশোধ করেছি।

সিনেমার চরিত্র নিয়ে ফারুকের ক্ষোভ

অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সিনেমায় গ্রামীণ চরিত্রে দেখা গেছে ফারুককে। গ্রামীণ চরিত্রে অনবদ্য হলেও এ ধরনের চরিত্রের প্রতি তার ক্ষোভও ছিল। সেটাও তিনি আরেক সাক্ষাৎকারে বলেছিছেন। তিনি বলেন, ‘যখন দেখা গেল কোনো একটি সিনেমায় আমি গ্রামীণ চরিত্রে ভালো করেছি, সিনেমাটি হিট হয়েছে তখন সবাই আমাকে দিয়ে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগত। হয়েছেও তাই। বিষয়টি নিয়ে আমি খুব বিরক্ত হতাম। চেষ্টা করতাম খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু দিনশেষে প্রযোজক পরিচালকদের ইচ্ছার পাশাপাশি দর্শকদের পছন্দটাকেও প্রাধান্য দিতে হতো।’

শাকিবের নিষেধাজ্ঞা মিটিয়েছিলেন ফারুক

২০১৭ সালে যখন শাকিবকে চলচ্চিত্রের সব সংগঠন কর্তৃক বহিষ্কার করা হয়, তখন এ দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন ফারুক। তিনি চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বাহক হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শাকিবের। এক সাংবাদিক ও এক প্রযোজকের ডাকে সাড়া দিয়ে শাকিবকে ক্ষমা করে দেন ফারুকসহ চলচ্চিত্রের সব সংগঠনের নেতা। তারপর শাকিব আবারও তার কাজ স্বাভাবিকভাবে শুরু করার সুযোগ পান।

এ টি


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ২:৫০ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১১ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৬:৩০ অপরাহ্ণ