এনবি নিউজ : ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় আগামীকাল বুধবার থেকে গণপরিবহণ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই গণপরিবহণ চলবে। তবে মহানগরের বাইরের কোনো পরিবহণ শহরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং বেরও হতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণপরিবহণে চলাচলের বিষয়টি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনরায় বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকাধীন সড়কে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহণ চলাচল করবে। প্রতি ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহণ সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লায় গণপরিবহণ চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল ৭ এপ্রিল বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে সরকারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালনে পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ও যাত্রীসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে করোনাভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে গত রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে সারা দেশে গণপরিবহণ বন্ধ, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা, কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করে ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই প্রজ্ঞাপনের পর গতকাল থেকে সারা দেশেই বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহণই চলছে এবং ঢিলেঢালা লকডাউন চলছে। বাস না চলায় চরম দুর্ভোগে পড়েন কর্মমুখী লোকজন। লকডাউনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।