এনবি নিউজ : সংবাদপত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্টের ওপর কর প্রত্যাহার এবং করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকরা। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাক-বাজেট (২০২১-২২) বৈঠকে বৃহস্পতিবার তারা এ প্রস্তাব দেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ সংযুক্ত ছিলেন।
এছাড়া সরকারের পক্ষে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনীতি নিয়েও বিভিন্ন প্রস্তাব ও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিতে ভর্তুকি আরও বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। এছাড়া পোলট্রি শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন সরকার সেখানে হাত দেবে, সহযোগিতা করবে। কৃষি আমাদের লাইফ লাইন। সব ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শিক্ষিত যারা কৃষিতে আসতে চায়, তাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। ম্যানুয়াল থেকে যারা আধুনিক কৃষিতে আসতে চায় তাদেরকে সহযোগিতা করব। কৃষিকে শক্তিশালী করার জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার সব করবে।’
চালের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ধান-চাল-গম এগুলো প্রকৃতির আচরণের ওপর নির্ভরশীল। আমরা দাবি করি আমরা স্বাবলম্বী। যে বছর প্রকৃতি স্বাভাবিক থাকে, সে বছর আমরা এই দাবি করতে পারি। প্রকৃতি বৈরী হয়ে উঠলে, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ এলে সেটা আমরা মেইনটেন করতে পারি না। আমাদের এখানে যে পরিমাণ জমি আছে, দক্ষতা আছে, সেটা যদি পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় ব্যবহার করতে পারি, তবেই আমরা সে বছর স্বাবলম্বী। কিন্তু গত বছর আমাদের অনেক বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। সেই কারণে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য একটা প্যাকেজ নেওয়া হচ্ছে।’
ভারত, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড- সব দেশেই ঘাটতি আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বেই কৃষক কৃষিকাজ করতে পারেনি। সাপ্লাইটা কমে গেছে। এ কারণেই দামটা বেশি।’
এ টি