এনবি নিউজ : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সাত অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ আটজনের মধ্যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা ও এক পথচারী আছেন।
গুলিবিদ্ধ হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৪০), একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সানি (২৭), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮), মো. জিসান (২৩), মো. সবুজ (৪০), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন ওরফে সুজন (২৭) ও একই ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার মো. দিদার (৩৫)। তাঁরা সবাই কাদের মির্জার অনুসারী। গুলিবিদ্ধ পথচারী হলেন বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. নওশাদ (৩৮)।
ছররা গুলিতে আহত সাতজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম। এ ছাড়া একজনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কাদের মির্জার একদল অনুসারী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মওদুদ আহমদ স্কুল এলাকার হড়াইন্নাগো বাড়ির সামনের রাস্তায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় স্কুলের দিক থেকে একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিতে মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে মোট আটজন আহত হন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশিদ। এনবি নিউজের কাছে তিনি দাবি করেন, তাঁদের কর্মীদের ওপর কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছিলেন। কিন্তু একই সময় কাদের মির্জার অনুসারীরা পাল্টা কর্মসূচি দেওয়ায় প্রশাসনের অনুরোধে তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। এতে দলের সব নেতা-কর্মীই বাড়ি ফিরে যান। এই সুযোগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মির্জার অনুসারীরা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় তাণ্ডব চালান। এ সময় নিজেদের গুলিতে তাঁরা নিজেরা আহত হয়েছেন।
মাহবুবুর রশিদ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যায় পৌরসভার করালিয়া এলাকায় কাদের মির্জার অনুসারীরা কোনো উসকানি ছাড়াই তাঁদের (মাহবুবুর) তিনজন কর্মীকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছেন। এরপরও তাঁরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে শান্ত রয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক এনবি নিউজকে বলেন, কাদের মির্জার অনুসারীরা মিছিল করার জন্য মওদুদ স্কুল এলাকায় জড়ো হলে তাঁর ভাগনে মাহবুবুর রশিদের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কাদের মির্জার লোকজন। এতে কাদের মির্জার সাতজন অনুসারী গুলিতে আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।