এনবি নিউজ : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনো জায়গা নেই। এখন সাধারণ মানুষের নয়, সরকারের মদদপুষ্টদের উন্নয়ন হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপনের এক ঘণ্টা আগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সরকার যে বলছে উন্নয়নের কথা। সেই উন্নয়ন কার? সেই উন্নয়ন শুধু যারা এই সরকারের মদদপুষ্ট, যারা সরকারের প্রশ্রয় পেয়েছে, যারা সরকারের আশ্রয় রয়েছে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে, হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কোনো স্থান নেই। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আসুন, আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করি।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। নির্ভয়ে আমাদের কাজ করে বিজয় অর্জন করতে হবে। অবশ্যই আমরা যেখানে সফল হবো বলে আমি বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জিয়াউর রহমানের অংশগ্রহণের দিবসটি স্মরণে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ‘১৯৭৮ সালের ৩ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে: বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একদলীয় শাসনের অবসান’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। ওই নির্বাচনে জিয়া জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট এবং এমওজি ওসমানী সম্মিলিত বিরোধী দল থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের সঞ্চালনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের (একাংশ) সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা গেলে দেশের মুক্তি নেই। সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সকল গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এক হতে হবে। সকলের এক হয়ে এই ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটাতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সরকার বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ টি