এনবি নিউজ : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আপনারা বেগম খালেদা জিয়াকে এভাবে পাঁচ-ছয়টি জন্মের তারিখ দিয়ে কেন বারবার জন্মগ্রহণ করালেন?’
আজ সোমবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
এদিন দুপুরে এক সংবাদ সম্মেরনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা (জন্মদিন) ইস্যু হতে পারে না। পার্টিকুলার একটা ডেটে কেউ জন্ম নিতে পারবে না, এটা ঘোষণা দিলেই হয়ে যায়। তাহলে ডেট দেখে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা চিন্তা করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, কোনও সরকারি নথিতে খালেদা জিয়ার জন্মের তারিখ ১৫ আগস্ট উল্লেখ নাই, অথচ বিএনপি’র পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার ১৫ আগস্ট কেক কাটা হয়। প্রকৃতপক্ষে ১৫ আগস্ট কেক কাটা হয় সেদিনের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য, ১৫ আগস্টের এই মর্মান্তিক ঘটনাকে উপহাস করার জন্য।
খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট ও করোনা টেস্ট রিপোর্টে তার জন্ম তারিখের চিত্র নিজের আইপ্যাড থেকে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, মেট্রিক পরীক্ষার ফরমে খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। আবার তার বিবাহ সনদে জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ৫ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তখন সরকারি নথিতে তার জন্মতারিখ উল্লেখ আছে ১৯ আগস্ট ১৯৪৭ সাল। আর বর্তমানে যে পাসপোর্ট তিনি ব্যবহার করছেন সেখানে তার জন্মতারিখ উল্লেখ আছে ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল। সম্প্রতি তিনি যে করোনার টেস্ট করেছেন, সেখানে তার জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ৮ মে ১৯৪৬ সাল। কয়টি জন্ম তারিখ হলো?’
তার মতে, এভাবে জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ভুয়া জন্মদিন পালন কোনও মানুষের ক্ষেত্রেই হওয়া উচিত নয়। যদি ইউরোপে কোনও রাজনীতিবিদের এ ধরনের কয়েকটি জন্মতারিখ হতো, তিনি রাজনীতিতেই অযোগ্য ঘোষিত হতেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা বেগম খালেদা জিয়ার জন্মের তারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। একজন মানুষের পাঁচটা জন্মতারিখ হওয়া মানে তার জন্মের তারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, এটা তারাই করেছেন।
এ টি