এনবি নিউজ : চিত্রনায়িকা পরী মণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন তুহিন সিদ্দিকি অমি (৩৩), নাজমা আমিন বৃষ্টি (২৪), লিপি আক্তার (১৮) ও সুমি আক্তার (১৯)।
এয়ারপোর্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউল আলম জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা পাঁচ মিনিটে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।এসআই বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
তাদেরকে আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের একটি সূত্র।
এর আগে চিত্রনায়িকা পরী মণির দায়ের করা সাভার থানার মামলায় সাভার থানা পুলিশ গতকাল সোমবার বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।যেহেতু গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত হয়েছে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয় সেজন্য বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি কুঞ্জ ডেভেলপার্সের চেয়ারম্যান এবং উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি।
জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরী মণি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে এক ব্যক্তির সঙ্গে যান। সেসময় তাঁকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ী।
গত রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন পরী মণি। তিনি দাবি করেছেন যে, ছয়জন তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিল।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর গত রোববার রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না।
পরী মণি বলেন, ‘আমি সুইসাইড (আত্মহত্যা) করার মতো মেয়ে না। আজকে যদি আমি মরে যাই, সবাইকে জানাতে চাই, আমি সুইসাইড করব না।’
এই অভিনেত্রী জানান, ‘ঢাকা বোট ক্লাবে’ তাঁকে হেনস্থা করা এক ব্যবসায়ী নিজেকে পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেন। ওই ব্যবসায়ীর নাম ‘নাসির উদ্দিন মামুন’ বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
ঘটনার পর ভোর রাতে বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী।