এনবি নিউজঃ মঙ্গলবার সংসদে বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশই আবাসিক খাতে ব্যবহার হয়। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশ আবাসিক খাতে, ১০ শতাংশ বাণিজ্যিক খাতে এবং ২৮ শতাংশ শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ছয় হাজার ৭২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারীর কারণে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম। ফলে মেরিট অর্ডার ডেসপাচ অনুযায়ী কিছু কিছু তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছ।
তাছাড়া গ্যাসের স্বল্পতার কারণে কিছু কিছু গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আংশিক ক্ষমতায় চালু রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী থেকে বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে বিদ্যুতের চাহিদা এবং উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।
কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি তিনি বলেন, আবাসিক খাতে গ্যাসের অপচয় রোধ ও জ্বালানির দক্ষ ব্যবহারে ইতিমধ্যে দুই লাখ ৭৩ হাজার ১০০টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। অন্যান্য আবাসিক গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে প্রি-পেইড মিটারের প্রাপ্যতা সহজ করতে বেসরকারি পর্যায়েও প্রি-পেইড মিটার সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরকারি দলের অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গৃহস্থালী ও বাণিজ্যিক শ্রেণিতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া আপাতত স্থগিত রয়েছ। তবে, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কারাগার এ নির্দেশনার আওতার বাইরে রায়েছে।
ঢাকা মহানগরীতে সরকারি-বেসরকারি নির্মিতব্য নতুন আবাসিক ভবনে গ্যাস সংযোগের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই, বলেন তিনি।
এ টি/ মঙ্গলবার