অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমি জরিপের কাজে বিশ্বব্যাপী লাইডার সেন্সর-সমৃদ্ধ ড্রোন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভূমি অধিদপ্তরও জরিপকাজ সূক্ষ্মভাবে করতে লাইডার সেন্সর–সমৃদ্ধ ড্রোন কিনবে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উইংস্ট্রার ভূমি জরিপ ও মানচিত্র তৈরির জন্য বাজারে এনেছে উইংস্ট্রা ওয়ান ড্রোন। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, লাইডার সেন্সর–সমৃদ্ধ উইংস্ট্রা ওয়ান ড্রোনটি বাংলাদেশ কিনতে চাইলে খরচ পড়বে ২১ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার বা ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। শিপিং ও হস্তান্তর, ট্যাক্স ও আমদানি ফি ছাড়াই এই খরচ পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্সপায়ার্ড ফ্লাইটের লাইডার সেন্সর–সমৃদ্ধ জরিপ ড্রোন ‘IF 750’। যার বাজারমূল্য ১৪ হাজার মার্কিন ডলার বা ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
বিশ্ব ড্রোন বাজারে আধিপত্যকারী প্রতিষ্ঠান চীনের ডিজিআই। জরিপকাজে ব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠানটির লাইডার–সমৃদ্ধ ড্রোন ‘matrice 300 rtk’। যার দাম ১৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার বা ১১ লাখ ২২ হাজার টাকা। জরিপের জন্য প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি ড্রোন ‘Phantom 4 RTK’। যার দাম ৬ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার বা ৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা। ‘Phantom 4 Pro+ V2.0’ নামে ডিজিআইয়ের আরেকটি জরিপ ড্রোন রয়েছে। যার দাম ২ হাজার ৪৯ মার্কিন ডলার বা ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৬৫ টাকা।
মানচিত্র ও জরিপকাজে ব্যবহারের জন্য ‘eBee X’ ড্রোন তৈরি করে ফ্রান্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্সফ্লাই। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, এই ড্রোনের দাম ৪ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার বা ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৫০ টাকা।
ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমি ড্রোনের বাজারদর দেখিনি। ডিপিপি তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বাজারদর দেখেছিল। আমরা যখন টেন্ডার দেব, তখন যারা সর্বনিম্ন দাম দেবে, তাদের থেকেই কিনব।’
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড্রোন দুটি কেনার জন্য এখনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। এর জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করতে পারে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর।
শুরুতে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার ভূমি জরিপে ড্রোন দুটি ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এই দুই জেলায় ভূমি জরিপ হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে। এরপর সরাসরি আর ভূমি জরিপ হয়নি। এ কারণে ড্রোন ব্যবহার করে ভূমি জরিপের জন্য শুরুতেই এই দুই জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ড্রোন ব্যবহার করে ভূমি জরিপ এই দুই জেলায় সফল হলে পরবর্তী সময়ে অন্যান্য জেলায়ও তা করার পরিকল্পনা আছে। তখন আরও বেশি ড্রোনের প্রয়োজন হবে।