এনবি নিউজ : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অভিযুক্ত কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন- সাদমান নাহিয়ান সেজান, সিএসই বিভাগ (রোল-১৩০৭০২৪), তাহামিদুল হক ইশরাক, সিই বিভাগ (রোল-১৫০১০৯০), সাদমান সাকিব, এলই বিভাগ (রোল-১৫১৯০৩৩), আ. স. ম. রাগিব আহসান মুন্না, এলই বিভাগ (রোল-১৫১৯০৪৮), মাহমুদুল হাসান, সিই বিভাগ (রোল-১৬০১০২৯), মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, এমই বিভাগ (রোল-১৬০৫০৩৯), মো. রিয়াজ খান নিলয়, সিএসই বিভাগ (রোল-১৬০৭০৭৫), ফয়সাল আহমেদ রিফাত, এমই বিভাগ (রোল-১৬০৫০৯৩), মো. নাইমুর রহমান অন্তু, এমএসই বিভাগ (রোল-১৬২৭০১০)।
আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য শাখা থেকে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি ২ ও ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৭৬তম সভায় উত্থাপন করা হলে সিসিটিভির ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃংখলা ও আচরণ বিধির আলোকে অসদাচরণ এর আওতায় সিন্ডিকেট এসব শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে কুয়েটের লালন শাহ হলের প্রভোষ্ট প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে সেলিম হোসেন কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়কজন নেতা-কর্মির মানষিক নিপিড়নের শিকার হয়েছিলেন। হলের ‘ডাইনিং ম্যানেজার’ নির্বাচন নিয়ে ড. সেলিম হোসেনকে বেশ কিছুদিন ধরে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে তার গতিরোধ করা হয়। পরে ওই শিক্ষককে তড়িৎ প্রকৌশল ভবনে তার ব্যক্তিগত কক্ষে এনে আনুমানিক আধাঘণ্টা রুদ্ধদার বৈঠক করে। এরপর ড. সেলিম হোসেন দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনায় দোষী ছাত্রদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বয়কট করেছে শিক্ষক সমিতি। এছাড়া পরিস্থিতি উত্ত্যপ্ত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
এ টি