তবে গবেষকেরা এও বলছেন—দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নতুন ভ্যারিয়্যান্ট সম্পর্কে আরও বাস্তবতানির্ভর তথ্য পাওয়া পর্যন্ত এর কার্যকারিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর পাশপাশি হালকা ও তীব্র পর্যায়ের ওমিক্রন আক্রান্তের বেলায় কী কী ঘটে, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা।
তবে, এ সুরক্ষার মাত্রা আগের ভ্যারিয়্যান্টগুলোর চেয়ে কিছুটা কম। কিন্তু বুস্টার ডোজ প্রয়োগের মাধ্যমে বহু মানুষকে হাসপাতালে যাওয়া থেকে বিরত রাখা যাবে।
কোভিডের বিরুদ্ধে কীভাবে কাজ করতে হয়, তাতে সহায়তা করে টিকা। কিন্তু বর্তমানে যে টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের সাপেক্ষে নকশা করা হয়নি।
ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাকে শরীরের কোষে ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয় অ্যান্টিবডি। গবেষণায় দেখা গেছে, দুই ডোজ টিকাপ্রাপ্ত লোকজনের শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই অ্যান্টিবডির কার্যক্ষমতা ২০ থেকে ৪০ গুণ কম হয়।
ইম্পেরিয়ালের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা কম হয়ে যাবে। এমনকি, বুস্টার ডোজ দেওয়া থাকলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসুস্থদের ক্ষেত্রে সুরক্ষা ৮০ থেকে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে।
অন্যদিকে, ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হয়ে একই অবস্থা হলে তাদের বেলায় বুস্টার ডোজ দেওয়া থাকলে ৯৭ শতাংশ সুরক্ষা মেলে।
নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন প্রথম ধরা পড়ে। ওমিক্রনের আগমনে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের ওপর এরই মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পৃথিবীর অনেক দেশ। তবুও বিশ্বব্যাপী ভ্যারিয়্যান্টটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়নি।