এনবি নিউজ : আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গ্যাস-বিদ্যুতের ভর্তুকি কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হয়ে এ নির্দেশ দেন।
সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া আদায়ের নির্দেশ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সভাসূত্রে জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এখন বিদ্যুতের বিল বকেয়া আছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। আর গ্যাসের বিল বকেয়া আছে ৬ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারপ্রধান গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি থেকে সরে আসতে বলেছেন। পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি থেকে সরে আসতে কৌশল নির্ধারণেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক খাত বিশেষ করে যেখানে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে এসব স্থানে ধীরে ধীরে গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে বলেছেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বড় বড় খাতে যারা বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহার করেন, তারা গরিব নয়। গুলশানে যারা বসবাস করেন, তারা গরিব নয়। সে জন্য প্রাথমিকভাবে বড় বড় শিল্প খাতের গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে বলেছেন। এছাড়া ভর্তুকি কমানোর কৌশল বের করতে বলেছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ভর্তুকি কোনো সভ্য দেশের সমাধান নয়। তাই ধীরে ধীরে গ্যাস-বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে সরে আসতে হবে। তবে কৃষি ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ভর্তুকির অপব্যবহার হয়। অনেকে ভর্তুকির সুবিধা পান না। তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবেও গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ পাচ্ছেন, কেউ পাচ্ছেন না। এটা অন্যায্য।
সভাশেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। তবে শিল্পের খাত থেকে ভর্তুকি কমিয়ে আনা হবে। শিল্প ও বিলাসী এলাকায় আর ভর্তুকি দিতে চায় না সরকার। তবে কৃষি ও বস্তি এলাকায় ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজকের একনেকসভায় সব মিলিয়ে আট হাজার ৮০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ টি