এনবি নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেনের অধিকৃত ৪ অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ফ্রান্স।
ফান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কলোনা এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার এ হুমকি দেন।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণভোটের নামে যে প্রহসন করেছে রাশিয়া তা সম্পূর্ণ অবৈধ। আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে একটি দেশের ভূ-খণ্ড জবর-দখল কারায় গোটা ইউরোপের সব দেশ রাশিয়াকে প্রয়োজনে এক ঘরে করে রাখবে।
এদিকে, ইউক্রেনের অধিকৃত চার অঞ্চলে অনুষ্ঠিত রাশিয়ার গণভোটকে ‘অবৈধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘও।
আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি মঙ্গলবার বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ইউক্রেনের জবরদখল করা অঞ্চল চারটি নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে ওই লোক দেখানো গণভোটের আয়োজন করেছে।
কিন্তু রাশিযার এ বেআইনি কর্মকাণ্ড কেউ মেনে নেবে না। ইউক্রেনে দেশটির নিজস্ব আইন চলবে, রাশিয়ার চাপিয়ে দেওয়া কোনো আইন সেখানে কোনোভাবেই চলবে না।
জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক প্রধান রোজমেরি ডি কার্লো মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কথিত গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়া আমাদের ভূখণ্ড চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুথফেরত জরিপ থেকে তারা জানতে পেরেছে— রাশিয়ায় যোগ দিতে গণভোটে বেশিরভাগ মানুষ ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন।
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল দোনেৎস্ক, লুহানেস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনে গত শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত গণভোট আয়োজন করেছে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
পশ্চিমা দেশগুলো আগেই জানিয়েছিল, গণভোটের ফলে দেখানো হবে বেশিরভাগ মানুষ রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে চায়। তারা বলছেন, তারা ফলের ব্যাপারে আগে থেকেই যা জানতেন সেটি এখন প্রকাশ করছে রাশিয়া।
রাশিয়ার গণমাধ্যম আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চার ভাগের এক ভাগ ভোট গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি অঞ্চলেই অন্তত ৯৭ ভাগ মানুষ ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ ভোটকে ‘প্রপাগান্ডা শো’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কথিত গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো জানিয়েছে, তারা কখনো এ ‘ভুয়া’ গণভোটের ফলকে স্বীকৃতি দেবে না।
সাথী