এনবি নিউজ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গা নিয়ে সাইড ইভেন্টে অনেক দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হয়েছে।
নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে মঙ্গলবার তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইয়র্ক থাকাকালে মাঝখানে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে জাপান গিয়েছিলেন। সেখানে জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নভেম্বরের শেষ নাগাদ জাপান সফরে যাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের ভয় ছিল ইউক্রেনের শরণার্থীর দিকে সবার আগ্রহ বেশি। সেই জন্য আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুটা আলোচনায় আনি। সবাই উচ্চপর্যায়ে অংশ নিয়েছেন। যুক্তরাজ্য, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্র সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত ১৭০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। এটা ছিল খুব ভালো ইভেন্ট। সবাই আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। রোহিঙ্গা একটা সিরিয়াস ইস্যু এবং সমাধান হলো মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন।
সীমান্তে উত্তেজনা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যা কিছু হচ্ছে মিয়ানমারের সীমানার মধ্যে হচ্ছে। অবশ্যই আমরা ঠান্ডামাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। আমরা কোনো উসকানিতে কখনো পা দিই না। আমরা আমাদের করণীয় করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ জাতিসংঘে যাবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে আমরা আগেও গিয়েছি। জাতিসংঘ অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। যুদ্ধই থামাতে পারছে না।
রোহিঙ্গা প্রশ্নে চীনের সহায়তা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীন সব সময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। তারা আন্তরিক। তবে তারাও সুবিধা করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তির বাণী পৌঁছে দিয়েছি। অন্যান্য দেশও শান্তির বাণী পৌঁছে দিয়েছে। অন্য অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মানবাধিকার উন্নত। গুমের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায়, জাতিসংঘের রিপোর্টে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এমন লোকের তথ্য দিয়েছিল যারা ভারতের জেলে ছিল কিংবা ভারতে থাকে। তাদের বাংলাদেশের গুম বলে প্রচার করা হয়। এটা দুঃখজনক।
‘আমি আশা করি, ভবিষ্যতে তারা এটা সংশোধন করবে। মানবাধিকার কাউন্সিলের ভোটে আমরা আশা করি জিতব। কারণ আমরা মানবাধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমরা বহু বছর ধরে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য। এবারও জয়লাভ করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে যে ধরনের প্রক্রিয়া রয়েছে সেগুলো আমরা সম্পন্ন করব।
এ টি