মাসুদ রানা : ঢাকা শহরের চিরচেনা যানজট এড়াতে চড়তে চান মেট্রোরেলে? কিছু ধাপ আর নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হতে হবে সেজন্য।
দেশের প্রথম মেট্রোরেলের জন্য উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত থাকছে মোট ১৭টি স্টেশন, প্রথম দফায় ২৮ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। এর সবগুলো স্টেশনই তিনতলা।
উঠুন দ্বিতীয় তলায়
স্টেশনের তৃতীয়তলায় প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর আগেই কয়েকটি ধাপ আসবে যাত্রীর সামনে। প্রথমে সড়ক থেকে সিঁড়ি বা চলন্ত সিঁড়ি কিংবা এস্কেলেটরে করে আপনাকে যেতে হবে দোতলায়; সেটি কনকোর্স এলাকা।
কাটুন টিকেট
কনকোর্সের কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে। মেট্রো রেলের দুই ধরনের টিকেট আছে। দীর্ঘমেয়াদী টিকেট হিসেবে এমআরটি পাস নিতে পারেন। অথবা কিনতে পারেন একবারের যাত্রার টিকেট। দুটোই পাওয়া যাবে কাউন্টারে। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় ‘টিকেট বিক্রয় মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা যাবে একবারের যাত্রার টিকেট।
কনকোর্সের কাউন্টার পর্যন্ত যেতে টিকেট লাগে না। টিকেট কাটার পর ট্রেন ধরতে ঢুকতে হবে পেইড জোনে। সেজন্য অটোমেটেড প্রবেশ পথে নির্ধারিত জায়গায় টিকেট ছোঁয়ালে খুলে যাবে দরজা। এর পরের এলাকাই পেইড জোন।
প্ল্যাটফর্ম
পেইড জোনে তো ঢুকে পড়েছেন। এবার নির্দেশিত পথে কিছুটা হেঁটে সিঁড়ি কিংবা এস্কেলেটর ব্যবহার করে যেতে হবে তৃতীয় তলায়, সেখনেই প্ল্যাটফর্ম। তৃতীয় তলায় ওঠার জন্য বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা লিফটও ব্যবহার করতে পারেন।
কখন বাজে ১২টা
প্ল্যাটফর্ম আর ট্রেনের মাঝামাঝিতে থাকবে ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি)’। নিরাপত্তার জন্য পিএসডি’র ধারে না দাঁড়িয়ে আপনাকে থাকতে হবে হলুদ দাগের বাইরে। সেখানেই অপেক্ষা করুন ট্রেনের জন্য
ট্রেন, ট্রেন
আপনি যে স্টেশনে অপেক্ষা করছেন, সে গন্তব্যে আসা যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর আপনাকে উঠতে হবে ট্রেনে।
বসুন কিম্বা দাঁড়ান
চড়ার পর ট্রেনে আসন ফাঁকা থাকলে সেখানে বসতে পারবেন আপনি। তবে বসার ক্ষেত্রে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে মেট্রোরেলের পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।
নজর রাখুন ডিসপ্লেতে
ট্রেনে চড়ার পর ডিসপ্লে ও রুট ম্যাপে খেয়াল রাখুন- আপনি কোথায় অবস্থান করছেন এবং আপনার গন্তব্য আর কতদূর, সব দেখানো হবে ডিসপ্লেতে। মাইকেও নিয়মিত ঘোষণা হতে থাকবে কোন স্টেশনে এল, সামনে কোন স্টেশন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা তা শুনে নামার প্রস্তুতি নিতে পারবে
পৌঁছে গেছেন?
গন্তব্যে পৌঁছে প্ল্যাটফর্মে নেমে আগের মত সিঁড়ি, এস্কেলেটর কিংবা লিফট ধরে আপনাকে নেমে আসতে হবে দোতলায় অর্থাৎ কনকোর্স লেভেলে।
স্টেশন থেকে বের হওয়ার জন্য দোতলায় আবারও পাবেন অটোমেটেড দরজা। আপনি যদি এমআরটি পাসধারী হন, নির্ধারিত জায়গায় টিকেট ছোঁয়ালেই খুলে যাবে দরজা। আর একক যাত্রার টিকেটধারীকে নির্ধারিত জায়গায় টিকেটটি ফেলতে হবে। অটোমেটেড দরজা খুলে গেলেই আপনি বেরিয়ে গেলেন পেইড জোন থেকে।
মনে রাখুন
যে গন্তব্য পর্যন্ত একক যাত্রার টিকেট আপনি কেটেছেন, আপনাকে সেই গন্তব্যেই নামতে হবে। আপনি যদি অতিরিক্ত পথ ভ্রমণ করে ফেলেন, তাহলে আপনি স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে ‘বাড়তি ভাড়া আদায়’ কক্ষে গিয়ে অতিরিক্ত ভ্রমণ করা দূরত্বের ভাড়া পরিশোধ করার পরই কেবল বের হওয়ার সুযোগ পাবেন আপনি।
টা টা, আবার আসবেন
দোতলার পেইড জোন থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি, এস্কেলেটর কিংবা লিফট ব্যবহার করে আপনি নিচের সড়কে চলে আসতে পারবেন। মেট্র্রে রেলে চড়ার জন্য ধন্যবাদ।