এনবি নিউজ : আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার চেষ্টায় রয়েছে বিএনপি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। এই দাবি আদায়ে আন্দোলনের পাশাপাশি বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছে দলটি।
করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে বিধিনিষেধ উঠে গেছে। রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার ক্ষেত্রে এখন আর তেমন বাধা নেই। বিএনপি এখন নানামুখী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে চাইছে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক শক্তির সহায়তায় বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায় দলটি। নির্দলীয় সরকার ছাড়া বিএনপি এবার নির্বাচনে যাবে না বলে আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, গত এক মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্যরা।
এসব বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির এক সদস্য। তিনি বলেন, র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সরকার চাপে আছে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের যে দাবি তা বাস্তবায়নে সরকারের ওপর আরও চাপ তৈরি করতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার এক নেতা জানান, বিএনপির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে এখন লন্ডন থেকে সরাসরি দেখভাল করছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকেই বিএনপির প্রতিনিধিদল সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ সফর করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির কূটনৈতিক উইং নানামুখী কর্মতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ঢাকায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন ও মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, গুম-খুন হত্যা হচ্ছে। এসব কিন্তু কোনো অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক বিষয়। সারাবিশ্ব এসব অবগত। বিশ্বের যে কোনো শক্তি এবং বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরের আন্তর্জাতিক সংগঠন যারা গণতন্ত্রের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে, সুশাসনের পক্ষে, তারা বাংলাদেশে যা চলছে তা সম্পর্কে সবই অবগত। বিএনপির সঙ্গে সবার যোগাযোগ আছে। কারণ এটি করা বিএনপির নৈতিক দায়িত্ব। যারা অবগত, এ নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এবং থাকবে।
এ টি