চিঠির তথ্য অনুযায়ী, পিএসসিতে এখন নবম, দশম ও এগারোতম গ্রেডে নিয়োগের জন্য মোট ১ হাজার ২০৭টি শূন্য পদের তালিকা জমা পড়েছে।
নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের ক্ষেত্রে পিএসসির নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কতটা যৌক্তিক, আগে তা যাচাই করা উচিত বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সদস্য আবদুল জব্বার খান। তিনি বলেন, চলমান সর্বশেষ কয়েকটি বিসিএসে নন-ক্যাডারে পদ নির্দিষ্ট করে না দিয়ে নতুন বিসিএস থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যেতে পারে।
জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, চলমান সর্বশেষ চার বিসিএসের কোনটিতে কত নন-ক্যাডার পদ বরাদ্দ থাকবে, তা আগেই নির্দিষ্ট করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের ক্ষতি হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে বেশি প্রার্থী নিয়োগ পেলেন, আরেকটিতে কম—এমন ভারসাম্যহীনতা দূর করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে ২৯তম বিসিএস থেকে নিয়োগ দিয়ে আসছে পিএসসি। সর্বশেষ পাঁচটি বিসিএসের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, ৩৪তম বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে অপেক্ষমাণ ৬ হাজার ৫৮৪ প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৮০২, ৩৫তম বিসিএসে ৩ হাজার ৩৫৯ প্রার্থীর মধ্যে ২ হাজার ১৪৪, ৩৬তম বিসিএসে ৩ হাজার ৩০৮ প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ২৬১, ৩৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৫৪ প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৭২৪ এবং ৩৮তম বিসিএসে ৬ হাজার ১৭৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৩০২ জন নিয়োগ পেয়েছেন।
পিএসসির নতুন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, আগের বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে অন্যরা যে সুবিধা পেয়েছেন, তাঁরা সেটি পাচ্ছেন না।