এনবি নিউজ ডেস্ক : যদি আর্থিক ও মুদ্রাবিষয়ক নীতি দ্রুত পরিবর্তন না করা হয় তবে বিশ্ব মন্দা ধেয়ে আসবে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন সংস্থা (ইউএনসিটিএডি) গত সপ্তাহে এই সতর্কতা দিয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেন, ‘মন্দা এড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার এখনো সময় আছে।’
তার দাবি, আসন্ন মন্দা এড়ানোর বিষয়টি পুরোপুরিভাবে নীতিগত ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার ব্যাপার।
ইউএনসিটিএডি সতর্ক করেছে নীতিগত ভুলেই আসতে পারে বড় বিপর্যয়। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলা বৈশ্বিক মন্দার চেয়েও এই মন্দা হতে পারে ভয়াবহ।
সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারি সংকট এবার আরও ঘনীভূত হতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, সব অঞ্চল প্রভাবিত হবে, তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি বিপদের ঘণ্টা বাজছে, যার মধ্যে অনেকগুলো ঋণ খেলাপির কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ বছরের সুদের হার বৃদ্ধি চীন ব্যতীত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আনুমানিক ৩৬০ বিলিয়ন ডলার আয় হ্রাস করবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
উন্নত অর্থনীতিতে সুদের হার বৃদ্ধির কারণে প্রায় ৯০টি উন্নয়নশীল দেশের মুদ্রা এবছর ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়েছে। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহামারির আগের পাঁচ বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হারে নিচে থাকবে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
পূর্ব এশিয়ায় এবার ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে যা গতবছর ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্যয়বহুল আমদানি ও রপ্তানির জন্য বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাসের পাশাপাশি চীনের মন্দাও এই অঞ্চলের অংশে আরও চাপ বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়া ও পশ্চিম এশিয়ায় ঋণ সংকট বাড়ছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা খেলাপির মধ্যে পড়েছে। আফগানিস্তান ঋণের সংকটে রয়েছে এবং তুরস্ক ও পাকিস্তান ক্রমবর্ধমান সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। পাকিস্তান বন্যার কবলে পড়েছে, এবং ঋণ বাড়ছে ও বৈদেশিক রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে।
সাথী