• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
বিএনপি কর্মী সর্বস্ব রাজনৈতিক দল নয়, বিএনপি জনসমর্থন ভিত্তিক রাজনৈতিক দল – মোঃ শাহজাহান Знакові постаті: роль у медицину, комерцію, культуру та інші галузі. ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন ডাঃ ঝুমা অফিস টাইমে দেখেন রোগী, ডিগ্রি ছাড়া করেন অপারেশন Probabilità Di Vincita Gratta E Vinci Qual È 13 নোয়াখালীতে আন্দোলনে আহত ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান ‘মৎস্য খামারে সন্ত্রাসী হামলা-ভাঙচুর’ হাসপাতাল থেকে আহতদের চিকিৎসা ফাইল গায়েব নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক বাপ্পিকে সংবর্ধনা উপজেলা নির্বাচন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই নোয়াখালীর চাটখিলে ভুমি নিয়ে বিরোধ, আহত ৪, গ্রেফতার ২

সিজারের পর পেটেই গজ-ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই, শিশুর অবস্থা আশংকাজনক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১২ মার্চ, ২০২১ সংবাদটির পাঠক ১৬ জন

 

ঢাকা: সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের ৩১ দিন পরে রোগীর পেট থেকে বের করা হয়েছে এক ফুট লম্বা গজ-ব্যান্ডেজ। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরে এই গজ বের না করেই পেট সেলাই করে দেওয়া হয় রোগীর।

অস্ত্রোপচারের পর থেকে রোগী পেট ব্যথার অভিযোগ করলেও কারণ জানার কোনো অনুসন্ধান না করে দিনের পর দিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিয়ে যান চিকিৎসকরা। ২২ দিন এভাবেই চলে চিকিৎসা। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় আনা হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করে আবার অস্ত্রোপচার করা হয়। আর এসময় বের হয়ে আসে এক ফুট গজ। এই গজের কারণে পচন ধরে নাড়িতে। অস্ত্রোপচারের সময় তাই কেটে ফেলা হয় নাড়ির বেশ কিছু অংশ। তবে চিকিৎসকরা বলছেন রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। রোগীর পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করে শাস্তি দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ বলছেন, রোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

ভুক্তভোগী রোগী ২৫ বছর বয়সী কামরুন নাহার রিনির স্বামী সোহান এনবি নিউজকে বলেন, ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গেলে তাকে সেদিনই ভর্তি হতে বলা হয়। দুপুর ১২টার দিকে রিনি গাইনি বিভাগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর কেবিনে ভর্তি হয়। সেদিনই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডা. নিসফুন নাহারের পরামর্শে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয় রোগীর। একইসঙ্গে নেওয়া হয় সিজারের প্রস্তুতি।

সিজারের পর পেটেই গজ-ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই, বের হলো ৩১ দিন পর

তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারি আনুমানিক দুপুর একটার দিকে ডা. নিসফুন নাহার, প্রধান সার্জন হিসেবে ডা. অপু সাহা, ডা. আবেদা, ডা. ফজলু, ডা. জাকিরের উপস্থিতিতে ডেলিভারি অপারেশন করা হয়। ছেলে সন্তান জন্ম দেয় রিনি। অপারেশনের পর আমার স্ত্রীকে নেওয়া হয় অবজারভেশনের জন্য। তখন থেকেই পেটের ভেতর তীব্র ব্যথা অনুভব করে আমার স্ত্রী। ব্যথা কমানোর জন্য আমার স্ত্রীকে একটা ইনজেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও তার ব্যথা কমে নাই।

সোহান বলেন, অপারেশনের পরদিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমার স্ত্রীর পেট ফুলে যায়। একইসঙ্গে তার তীব্র পেট ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে জানায়। বিষয়টি দায়িত্বরত চিকিৎসককে জানানো হলে NG Tube ও নেবুলাইজার দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করে। এভাবেই চার দিন তার চিকিৎসা চলে। চার দিন পর ডা.জাকিয়া সাফি এনজিটিউব খুলে দেয় এবং রোগীর কোনো সমস্যা নেই বলে জানান।

তিনি বলেন, ডা. জাকিয়া সাফি এবং তার দলের সদস্যরা এসে সেলাই পর্যবেক্ষণ করেন এবং শেষের দিকের দুটি সেলাই খুলে দেন এবং রোগী গোসল করতে পারবে বলেও জানান। ২ ফেব্রুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি ডা. নিসফুন নাহার রোগীকে দেখে যান। এসময় তিনি কিডনি, মেডিসিন ও গ্যাস্ট্রোলিভারে চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শ দেন। এই হিসেবে ডা. হাবিবুল্লাহ এসে রোগীকে দেখে যান ও অবস্থা স্বাভাবিক বলে জানান ডা. নিসফুন নাহারকে।

৬ ফেব্রুয়ারি রোগীর সবগুলো সেলাই ইনফেক্টেড হয়ে খুলে যায় জানিয়ে সোহান বলেন, রোগীর কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক সেন্সভিটি পরীক্ষা না করে র‍্যানডমলি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছিল এই লম্বা সময় ধরে। পরবর্তীতে ৯ ফেব্রুয়ারি অ্যান্টিবায়োটিক সেনসিটিভটি টেস্ট করা হয়। এরপরে দেওয়া হয় নতুন ধরনের ট্রিটমেন্ট। এসময় ডা. জাকিয়া সাফি ও তার চিকিৎসক দল শুধুমাত্র ড্রাগ রেজিস্ট্যান্সের কারণে এমনটা হচ্ছে বলা জানায়। আর এজন্য ক্ষতস্থান না শুকানোর কারণ শনাক্ত করা হচ্ছিল না সেখানে। আমরা রোগীকে সেখান থেকে ঢাকা নিতে চাইলেও সেটি তারা করতে দেয় নাই।

তিনি বলেন, রোগীর পেট ফুলে যাওয়া, তীব্র পেট ব্যথা এবং বমি থাকার কারণে আমি আমার আত্মীয়রা বারবার বলছিলাম আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে। সেটি তারা করে নাই। এ সময় মেরোপিনেমসহ অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে ক্ষতস্থান নিয়ন্ত্রণ করে তারা ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সেলাই দেয়। ডা. আবেদার উপস্থিতিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ড্রেসিং করে ২২ ফেব্রুয়ারি রোগীকে তারা ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু তখনও তারা রোগীর পেট ব্যথা ও বমির কারণ কী— সেটার জন্য কোনো পরীক্ষা করে নি।

সোহান বলেন, আমার স্ত্রীকে বাসায় নিয়ে আসলেও ২৪ ফেব্রুয়ারি এশিয়া ক্লিনিকে যাই ডা. আবদুল্লাহ আলমূতীকে দেখানোর জন্য। সেখানে আল্ট্রাসোনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন টেস্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি একজন হেপাটলজিস্টের কাছে রেফার করেন। সেই হিসেবে ডা. লুৎফুল মুবিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সিটি স্ক্যান করতে বলেন। এ সময় তিনি রোগীর ব্যথার সঙ্গে টেস্ট রিপোর্টের কোনো মিল নেই বলে জানান। এরপরই আমরা ঢাকা নিয়ে যাই রোগীকে।

তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাকিমের কাছে গেলে তিনি আমাদের সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন টেস্ট করতে দেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে সব টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে গেলে শরীরে পার্টিকেল পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। তিনি রোগীকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।

সোহান বলেন, আমরা রিনিকে (রোগী) ১ মার্চ হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করাই। ২ মার্চ তাকে সেখানে ক্ষতস্থানের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। একইসঙ্গে রোগীর বমি হওয়ার কারণে তাকে এনজিটিউব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৩ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখানে গজ কাপড় পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন রোগীর সিজারের সময় যে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তখন তাতে এই গজ শরীরে রেখেই সেলাই করে দেওয়া হয়। আমি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে অভিযোগ জানাবো বিএমডিসিতে এবং আমি থানায়ও মামলা করবো। তারা আমার স্ত্রীর সঠিক চিকিৎসা করে নাই। কেনো সে ব্যথা বলছিল তারও কোনো কারণ অনুসন্ধান করে নাই। আমি এর বিচার চাই। আমার সদ্য জন্ম দেওয়া ছেলেটা তার মায়ের বুকের দুধ পর্যন্ত পায় নাই। কারণ আমার স্ত্রী তো ঠিকভাবে কিছু খেতেই পারছিল না।

জানতে চাইলে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেনিন চৌধুরী এনবি নিউজকে বলেন, স্বজনরা জানিয়েছে রোগীর অপারেশন হয়েছে টাঙ্গাইলে। এরপর তার কিছু সমস্যা হয়। পেটে ব্যথা শুরু হয় রোগীর। সেখানে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরও সমস্যা সমাধান না হওয়ার আমাদের কাছে নিয়ে আসা হয়। এখানে সিটি স্ক্যান করে দেখা যায় পেটে অস্পষ্ট কিছু একটা আছে। এরপর আমাদের এখানে পরীক্ষা করে অস্ত্রোপচার করা হয়। এক্ষেত্রে পেটের ভেতর থেকে একটা ফরেন বডি বের করা হয়। রোগীর অবস্থা বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।

সিজার অপারেশন চলাকালে পেটে যদি গজ ফেলে রাখা হয় তবে সেটি পাকস্থলিতে কী পাওয়া যাওয়া সম্ভব? এমন প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক বলেন, হ্যাঁ এটা অবশ্যই সম্ভব। পেটের ভেতরে কোনো কিছু থাকলে সেটিকে ফরেন বডি হিসেবেই শনাক্ত করা হবে। বডি যখন কোনো ফরেন বডিকে পাবে তখন সেটি এটাকে বের করার চেষ্টা করবে যেকোনো ভাবে। তখন পেটের মধ্যে যদি কিছু রেখে দেওয়া হয় তবে সেটি কিভাবে বের করা হবে? সে চাইবে মুখ দিয়ে বা পায়ুপথ দিয়ে বের করতে। তখন পেটের ভেতর যে নাড়িভুঁড়ি আছে, পাকস্থলি, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত এই পরিপাকতন্ত্রের জিনিসগুলো কিন্তু মুভিং। মুভিং হতে হতে এটি পাকস্থলিতে চলে যায়। মুভ করার কারণে এটি পাকস্থলি বা পরিপাকতন্ত্রের যেকোনো স্থান দিয়ে ঢুকতে চেষ্টা করে বের হওয়ার জন্য। সেসময় বডিও তখন চায় দেওয়ালের সঙ্গে প্রদাহ করে করে ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য। এ কারণে ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্তে বা পাকস্থলিতে ফরেন বডি ঠাই করে নিতে পারে। সেজন্য সিজার অপারেশন হলেও যদি পেটের মধ্যে ভুলে কোনো কিছু রেখে দেওয়া হয় তবে সেটি এসব স্থানে ঠাই নিতে পারে। আর এটি স্বাভাবিক। শুধু অস্বাভাবিক হলো অস্ত্রোপচারের সময় গজ রেখে দেওয়া।

জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নিসফুন নাহার এনবি নিউজকে বলেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে আমরাও আজকেই শুনেছি সকাল বেলা। তবে এ বিষয়ে আমি একা কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। হ্যাঁ, রোগী আমাদের এখানে ছিল। তবে সরকারি হাসপাতালে এটা হলো একটা টিমওয়ার্ক। আমি ইউনিট-২ এর একজন চিকিৎসক। আর তাই আমি একজন টিম মেম্বার। কিন্তু রোগীর অস্ত্রোপচার কে করেছে এবং ওই সময় রোগীর কী কী সমস্যা ছিল এগুলো নিয়ে বলতে গেলে সবাইকে নিয়ে সামনাসামনি কথা বলা প্রয়োজন। আলাদাভাবে আমি কোনো মতামত এখন দিতে পারছি না। আমরা টোটাল টিম আপনাদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বললে হয়ত বিষয়টা পরিষ্কার করতে পারব। এ বিষয়ে আপনি কথা বলতে চাইলে আমাদের ইউনিটের ডা. জাকিয়া শাফি আপার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

জানতে চাইলে ডা. জাকিয়া শাফি এনবি নিউজকে বলেন, হ্যাঁ, এ বিষয়টি আমরা শুনেছি আজ। ৩১ জানুয়ারি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ডা. অপু এবং ডা. আবিদা সিজার করে। প্রাথমিকভাবে তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। তবে অপারেশনের এক দিন পরে পেট ব্যথা ও পেট একটু ফাঁপা বলে জানায়। তখন আমরা সবাই দেখি। ডা.নিসফুন, আমি, ডা. নাজমা খলিল আমরা সবাই রোগীকে দেখি বাইটার্ন। যতটুকু আমরা আমাদের লেভেলে চিকিৎসা দিতে পারি সেটি দিয়েছি। পরবর্তীতে আমরা জেনারেল সার্জারি টিমকে ইনভলভ করি। উনারা এসে রোগীকে দেখেন। মেডিসিনও ইনভলভ করি আমরা যেন রোগী আরাম পাই। এরপরে রোগীর পেট ফাঁপা কমে আসে। কিন্তু পরে আবার সেলাইয়ের স্থানে ইনফেকশন পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ড্রেসিং করে করে ইনফেকশন কন্ট্রোল করা হয়।

তিনি বলেন, ঢাকায় গিয়ে গজ পাওয়ার বিষয়টি আমরাও শুনেছি। এটা আসলে আনইউজুয়াল একটা ঘটনা, বলা যায় অ্যাক্সিডেন্টাল। এখনো আমরা সেভাবে চিন্তাও করি নাই যে সেখানে কিছু থাকতে পারে। এ বিষয়ে ডা. নিসফুন হয়তো ভালো বলতে পারবে। মেইনলি তিনিই ডিল করেছেন। তাই ভালো তথ্য উনারা দিতে পারবেন।

জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সজীব এনবি নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমিও আজ শুনেছি। তবে আমি এখন ঢাকা আছি একটা ট্রেনিংয়ের জন্য। বিষয়টি আমি সম্পূর্ণ যেহেতু জানি না তাই এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। প্রতিদিনই তো আমাদের অনেক অপারেশন করা হয়ে থাকে। তাই হাসপাতালে গিয়ে আমার এ বিষয়ে জেনে মন্তব্য করতে হবে।

তিনি বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে আমরা কেউ ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে না। এমন ভুল যে হতে পারে সেটি আমাদের চিকিৎসাশাস্ত্রের বইয়েও লেখা আছে। তবে এমনটা এক হাজার জনের মাঝে একজনের হয়ে থাকে। এ অভিযোগের বিষয়ে আজকে আমাদের কথাও হয়েছে। যদি এ বিষয়ে রোগীর স্বজনরা কোনো অভিযোগ করে থাকেন তবে অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. শাহাবুদ্দিন এনবি নিউজকে বলেন, যেহেতু এটি সদর হাসপাতালের ঘটনা তাই এটি আমার আওতায় পড়ে না। তবে সেখান চিকিৎসা নিয়ে যদি কেউ অভিযোগ জানায় তার একটি কপি আমার কাছে আসবে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাধারণ নিয়মে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি বিএমডিসি’র কাছে গিয়ে থাকে তবে তারাও একই জিনিস করবে। তারাও ভেরিফাই করে ব্যবস্থা নিবে।

তিনি বলেন, অপারেশনের পরে অবশ্যই রোগীর সবকিছু পরীক্ষানিরীক্ষা ভালোভাবে করে এরপরে ছাড়পত্র দেওয়া দরকার ছিল। কিন্তু ছাড়পত্র দেওয়া পরে, অন্যখানে গিয়ে এমন গজ পাওয়া বিষয়টি অস্বাভাবিক। দেখা যাক, আমাদের কাছে যদি অভিযোগ আসে তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে নিয়ম অনুযায়ী।

জানতে চাইলে বিএমডিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এনবি নিউজকে বলেন, পুরো বিষয়টি দুঃখজনক। এটি কিভাবে হয়েছে? কেনো হলো? এটা কী দায়িত্বে অবহেলা কি না? সেটি প্রমাণ করা দরকার। যদি রোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ আসে তবে অবশ্যই সেটি তদন্ত করা হবে। যদি প্রমাণিত হয় তবে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে তার সনদ বাতিল, তবে সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণ হতে হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৫:০০ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ২:৫০ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১১ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৬:৩০ অপরাহ্ণ