চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমার টালমাটাল সময় পার করছে।
“আমরা প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর সু চিসহ নির্বিচারে আটক সবাইকে যত দ্রুত সম্ভব ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি,” বলেছেন গুতেরেসের সহযোগী মুখপাত্র এরি কানেকো।
বুধবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটির বিভিন্ন কারাগার থেকে দুই হাজারেরও বেশি বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে উত্তেজনা উসকে দেওয়ার অভিযোগে আটক একাধিক সাংবাদিক ও অন্যরাও আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে ক্ষমতাসীন জান্তার বিরোধিতাকারী অনেককে আতঙ্ক ছড়াতে পারে এমন মন্তব্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোকে অপরাধ বলে গণ্য করা একটি আইনে আটক করা হয়েছে। আটক অনেকে এরই মধ্যে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
কাছাকাছি একটি অপরাধে সু চিসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিকেরও বিচার চলছে। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের স্টেট কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করা সু চিকে অভ্যুত্থানের দিনই আটক করা হয়েছিল।
“মিয়ানমারে অব্যাহত সহিংসতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচারে গণগ্রেপ্তারসহ মানুষকে ভয় দেখানোর কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা এখনও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন,” বলেছেন কানেকো।