জাতিসংঘের ওই নথিতে বলা হয়েছে, নানা মাধ্যমে জানা গেছে তালেবান একটি তালিকা তৈরি করেছে। মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর হয়ে কাজ করেছেন, এমন আফগানদের নাম রয়েছে ওই তালিকায়। তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রয়োজনে শাস্তি দিতে চায় তালেবান।
তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজছে তালেবান যোদ্ধারা, এমনটাই বলা হয়েছে ওই নথিতে। যারা ইতিমধ্যে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, নিজে থেকে ধরা না দিলে পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। এমনকি তালেবানের পক্ষ থেকে অনেকে হত্যার হুমকিও পেয়েছেন।
যদিও কাবুল দখলের পর বিদেশি বাহিনীদের সহায়তাকারী আফগানদের ক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তালেবান।
গত মঙ্গলবার প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। এ সময় তাঁর কাছে বিদেশি বাহিনীগুলোর জন্য এত দিন যাঁরা দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন, তাঁদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, কাউকেই শত্রু হিসেবে গণ্য করা হবে না। যেসব তরুণ এখানে বড় হয়েছে, আমরা তাদের ছাড়তে চাই না। তারা আমাদের সম্পদ। কেউ তাদের দরজায় টোকা দিয়ে জানতে চাইবে না তারা কার জন্য কাজ করেছে। তারা নিরাপদে থাকবে। কেউ তাদের জেরা বা তাড়া করবে না।