এ ছাড়া হাক্কানি নেটওয়ার্কের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি আফগানিস্তানে আল-কায়েদার ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে জানিয়ে, পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন—এই সিদ্ধান্ত গত বছর কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার সময় তালেবান নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে। কারণ, সে আলোচনায় তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল—আফগানিস্তান পুনরায় অন্যান্য বিদ্রোহীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না।
কাতার আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উল্লেখযোগ্য ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের সংগঠন আফগানিস্তানের ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ গতকাল বৃহস্পতিবার হাক্কানি নেটওয়ার্কের জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-রহমান হাক্কানিসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কাবুলে সাক্ষাৎ করেন। আবদুল্লাহ পরে প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দেন যে, খলিল আল-রহমান হাক্কানি আফগান রাজধানীতে নিরাপত্তার তত্ত্বাবধান করবেন। এবং আশ্বাস দেন, খলিল আল-রহমান হাক্কানি ‘কাবুলের নাগরিকদের সঠিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করবেন’।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খলিল আল-রহমান হাক্কানিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে। তাঁকে ধরার জন্য এবং তথ্য প্রদানের জন্য ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। হাক্কানি জাতিসংঘের সন্ত্রাসীদের তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত।
অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ ব্রিটিশ কূটনীতিক আইভর রবার্টস বলেছেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যদের কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া ‘শিয়ালকে মুরগির খামারের দায়িত্ব দেওয়ার সমতুল্য’।
কাউন্টার এক্সট্রিমিজম প্রজেক্ট বা সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আইভর রবার্টস। কাউন্টার এক্সট্রিমিজম প্রজেক্ট একটি অলাভজনক সংস্থা, যা চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে গবেষণা করে।
আইভর রবার্টস জানান, তালেবানের পদক্ষেপে তিনি বিস্মিত। তিনি বলেন, ‘আমি জনসংযোগের দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবেছিলাম, তালেবান এর চেয়ে একটু বেশি বুদ্ধি রাখে।’