নিহত মো. ইয়াসিন (৪০) শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মৌলভীকান্দি গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে। কেরাণীগঞ্জ উপজেলার নজরগঞ্জ এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। ইয়াসিন অটোরিকশা চালাতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ওসি প্রাথমিক তদন্তের বরাতে বলেন, ইয়াসিনের সঙ্গে তার শ্যালক সোহাগের দ্বন্দ্ব ছিল। এ জেরে প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। তার পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।“মূলত শ্যালক-দুলাভাই দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। সোহাগের নামে দস্যুতা ও ডাকাতি চেষ্টাসহ একাধিক মামলা এবং নিহত ইয়াসিনের বিরুদ্ধে মাদক ও চোরাচালানসহ একাধিক মামলা রয়েছে।”
তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল তা বলতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা হলে দ্বন্দ্বের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান ওসি আবু সালাম।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে নিহতের শ্যালকসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।